বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গাইবান্ধায় গেল ১০ প্রাণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে গাইবান্ধায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

রোববার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয় জেলাজুড়ে। প্রায় দেড় ঘন্টব্যাপি হওয়া এই ঝড়ে গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে মারা যান তারা।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান, ঝড়ে গাইবান্ধা সদরে চারজন, পলাশবাড়ীতে তিনজন, ফুলছড়িতে দুইজন এবং সুন্দরগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আব্দুল গোফ্ফার (৪২), ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৬০) ও সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের ঢনঢনি পাড়া গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী সাহারা বেগম (৪০)।

এদের মধ্যে সাহারা বেগম ছাড়া চারজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আর সাহারা বেগম খড়ি কুড়াতে গিয়ে গাছচাপায় গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

দারিয়াপুর জয়নাল আবেদিন প্রি ক্যাডেটের অধ্যক্ষ সুমন কুমার বর্মণ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের তারের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

কামারাজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ২৮টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। সেগুলোর অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে সেগুলোতে কতগুলো যাত্রী ছিলেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, তিনি তার উপজেলার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে লণ্ডভণ্ড ও ঘরবাড়ি গাছপালা তিনি দেখেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তালিকা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও ও পিআইওদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া গেলে বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সহায়তা দেওয়া হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: