নিউজ ডেস্ক :: রাস্তায় গাড়ি না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করেছেন কর্মস্থলগামী সাধারণ মানুষ। এসময় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
লঞ্চযাত্রীরা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব, নেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা
অবরোধকারীরা বলেন, সড়কে সব ধরনের যানবাহনই চলাচল করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাহন, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্রাক চলছে। সরকারের নির্দেশনার কারণে প্রায় সকল কারখানা খোলা রয়েছে। তবে শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় কর্মস্থল খোলা থাকলেও তারা পরিবহন সংকটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
পরিস্থিতি বিবেচনায় এর মেয়াদ বাড়তে পারে। লক্ষ্য সাত দিনেই সংক্রমণ কমিয়ে আবার নিয়মিত কার্যক্রমে ফেরা। গত বছর সংক্রমণ কমাতে ঘোষণা করা হয়েছিল সাধারণ ছুটি, যেটির কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিস খোলা রাখায় বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ। গণপরিবহন না চললেও রাস্তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা দেখা যায়। অফিসগামী মানুষরা জানান, অফিস খোলা কিন্তু যাওয়ার মতো কোন যানবাহন নেই।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। এ দফায় আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই লকডাউন।