শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

লকডাউনে টিকে থাকার আশঙ্কায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা

নিউজ ডেস্ক :: লকডাউনে সরকারি সহায়তার স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যাদের জন্য বরাদ্দ তাদের হাতেই যেন পৌঁছায়- সেই উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়েই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব। আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি সহায়তা বিতরণে অনিয়ম দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। লকডাউনে বন্ধ থাকছে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরনের কর্মযজ্ঞ। তাই লকডাউনের সময় টিকে থাকা নিয়ে আশঙ্কায় আছে নিম্ন-আয়ের মানুষেরা।

একজন বলছেন, লোকজন কোনো কাজে নাই এখন, সবাই বেকার হয়ে পড়েছে। সরকার যদি কিছু অনুদান দেয় তাহলে সবাই বাঁচতে পারব। এক নারী বলছেন, লকডাউনে কেউ কাজে নেয় না। সংসারে কষ্ট হয়। স্বামীও কিছু করতে পারে না। কেউ বলছেন আবার, অনুদান তো সবাই চাই। ওপর থেকে নামতে নামতে কিছুই পাই না আমরা।

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলছেন, নিম্ন আয়ের কর্মহীন এসব মানুষের কথা বিবেচনা করে এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় জুন পর্যন্ত ১৭শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলছেন, জুন পর্যন্ত উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। যারা ত্রাণে অনিয়ম করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলা দেয়া হয়েছে। সরকারের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে গতবারই এই অনিয়ম থেমে গেছে। এবার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শতভাগ সেবা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউন নাহিন শিমুল বলছেন, কে কে অনুদান পেল এটার তালিকা যদি সব জায়গা পাওয়া যায় তাহলে যারা পাওয়ার কথা না হওয়ার পরও পায় তাহলে বিষয়টি সবাই দেখতে পারবে, জানতে পারবে। এছাড়া যার পাওয়ার কথা কিন্তু পেল না, সেও কিন্তু জানবে তালিকায় তার নাম নেই। অন্যথায় তারা বাইরে বের হলে করোনা শনাক্ত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

সরকারি সহায়তা সুনির্দিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য স্বচ্ছ ডাটাবেজ তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: