মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
দিনাজপুর প্রতিনিধি :: জাঙ্ক ফুড বাদ দিন, স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন।স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত জনসচেতনতা মূলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল কনফারেন্স রুমে ১৭ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, বেলা ১১ ঘটিকায়।
জাঙ্ক ফুড এর প্রভাবে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা সহ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যার সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করা হয় উক্ত সচেতনা মূলক কর্মশালায়। সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম ফসফেট, সাধরণ বা বিট লবণ কিভাবে হাইপারটেনশন বাড়ায় সেটি ব্যখ্যা করা হয়। কোমল পানিয় (পেপসি, সেভেনআপ, কোকাকলা), চকলেট, বার্গার, ফুচকা, চানাচুর, স্যান্ডউইস, পিজ্জার মত পুষ্টিহীন খাবারগুলো আমাদের জন্য কত বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করছে তার ব্যখ্যা দেন সিভিল সার্জন জনাব আব্দুল কুদ্দুস এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্টি এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবোধায়ক জনাব ডাঃ নাজমুল ইসলাম।
সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মশালার উপস্থিতিদের মাঝে দিনাজপুর সিভিল সার্জন জানান, জাঙ্কফুটে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। নতুন প্রজন্মকে পুষ্টি সুরক্ষা দিতে হবে। কর্মশালায় শিক্ষক, সাংবাদিক, ইমাম, জনপ্রতিনিধি, বেকারি সংশ্লিষ্টদের যুক্ত করা হয়েছে যেন পুষ্টি সুরক্ষার বিষয়টি সমাজে সঞ্চারিত হয়।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নজমুল ইসলাম জানান, ফাস্ট ফুডের কারণে অত্যন্ত নিম্নমানের পুষ্টি সরবরাহ হচ্ছে। অভ্যাস পরিবর্তন করে কোথাও বেড়াতে গেলে চকলেট, চিপস বা ফাস্ট ফুড না নিয়ে যেয়ে দেশি ফলমূল নেয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। সুগার, লবণ আর ফ্যাট এ তিনটিই যেখানে অধিক আছে সে খাদ্য পরিহার ছাড়া সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবেনা।
আয়োজনে শিক্ষকদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ঐতিহ্যবাহী সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দই থাকে ফুচকা, চানাচুর, আচারের মত খাদ্য। যাতে প্রচুর লবণ ব্যবহৃত হয়। সচেতনতা সভায় বারবার বলা হয়েছে স্ট্রোক, হাইপারটেনশন এবং কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সঙ্গে লবণের ব্যবহার অধিক সম্পর্কযুক্ত। আমি আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মশালার তথ্যগুলো সরবরাহ করব তাঁরা যেন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হয়।