নিউজ ডেস্ক :: পুরোনাম সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনূর। তবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে শাহনূর নামেই তুমুল জনপ্রিয় তিনি। এছাড়া টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। ১৯৯৯ সালে ‘ফাঁসির আদেশ’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। তবে শাহনূর অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘জিদ্দি সন্তান’ মুক্তি পায় ২০০০ সালে।

এখন পর্যন্ত তার অভিনীত ৭৬টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। ছোট পর্দার দর্শকরা প্রায় চার শতাধিক নাটকে পেয়েছেন তাকে। ছোট ও বড় পর্দার এই পরিচিত মুখ শাহনূর ব্যক্তিগত জীবন, ক্যারিয়ার ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আরটিভি অনলাইনের সঙ্গে। আর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শাহজাদা সেলিম রেজা-

বর্তমান ব্যস্ততা...
সাতটি ছবি হাতে রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ছবির কাজ শেষ হয়েছে। সরকারি অনুদানের ‘কাক তারোয়া’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ‘কে আমার শত্রু’ ছবিটির কিছুটা শুটিং এখনো বাকি আছে। ‘বসন্ত বিকেল’ ছবিটির ডাবিং বাকি, ‘বেলা অবেলা’ ছবির প্রায় অর্ধেকের বেশিই কাজ বাকি রয়েছে। এছাড়া ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ এই ছবিরও কাজ বাকি রয়েছে। ছবিটির আউটডোর শুটিং করার কথা আমাদের। কিন্তু করোনার লকডাউনের জন্য আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে হয়তো দ্রুতই কাজ শুরু হবে।

ছবির বাইরে নাটকের কাজও করা হচ্ছে। ‘জমিদার বাড়ি’ ও ‘চিটার’ নামক দুটি নাটকের কাজ রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু নাটকের অফার ছিল কিন্তু লকডাউনের কারণে তা করা হয়নি।

বিশ্বজুড়েই তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা। সেদিক থেকে আমার জীবনেও প্রভাব পড়েছে। আমরা যারা চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত তারা কাজ করলেই কেবল পারিশ্রমিক পাই। আমরা তো চাকরিজীবীদের মতো মাস পার হলে বেতন পাবো বা ব্যবসার মুনাফা পাবো এমন প্রফেশনের নই। সেদিক থেকে করোনায় চলচ্চিত্রের সকল কাজ বন্ধ থাকায় আমরা আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছি।

ব্যক্তিগতভাবে আমি ছোটবেলা থেকেই সামাজিক কর্মকাণ্ড করি। আমি পথ-শিশু, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে নিজের জায়গা থেকে সাধ্যমতো কাজ করেছি। আমার গ্রামের বাড়ি করোনার সময় সাধ্যমতো ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। এছাড়া করোনা রোধে জনসচেতনতায় কাজ করছি।

আমার কাছে মনে হয় রাজনীতি যারা করেন তারা অনেক বুদ্ধিমান। তারা দেশের স্বার্থে দেশের জন্য কাজ করেন। আর আমার কাছে রাজনীতি হচ্ছে আমি দেশকে অনেক ভালোবাসি। আমি আমার দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যতদিন বাঁচবো কাজ করতে চাই। আমার আব্বু ও চাচারা, তার পাঁচ ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবেই আমি দেশের জন্য কাজ করছি; এছাড়া অন্য কিছু না।

এটা বলা সত্যিই খুব মুশকিল। আমার উদ্দেশ্য একটাই, যেহেতু আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তাই আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য দেশের জন্য কাজ করা। আমার কাছে সংসদ সদস্য হওয়া মূল লক্ষ্য না। আমি দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।

গত দু-বছর ধরে ঈদে কোনো শপিং করছি না। এমনকি পরিবারের কাউকেই শপিং করে দেইনি। করোনা আসার পর শপিংয়ের টাকাটা আমরা অসহায়-দরিদ্রদের মাঝে উপহার হিসেবে খরচ করে থাকি। আর ছোটবেলায় কয়েক সেট করে পোশাক থাকতো আমার। সকালে এক সেট, দুপুরে আরেক সেট আবার বিকেল বেলায় আরেক সেট পড়তাম। আমরা এক ভাই-এক বোন হওয়ায় সবারই ভালোবাসা পেতাম। আর ঈদের আগে নতুন ড্রেস লুকিয়ে রাখার ব্যাপারটা আমার মধ্যেও ছিল।
এসআর/এম