বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্ধিনগর বাজারে গতকাল বিকেলে গাছের ডাল চুরির ঘটনায় কৈফিয়ত চাওয়ায় একই এলাকার সন্ত্রাসী আবদুল মজিদ মাঝির নেতৃত্বে তার অপর ৩ ভাইসহ একটি সন্ত্রাসী দল ইউনিয়নের বুদ্ধিনগর বাজার সংলগ্ন মেজর প্রজেক্ট এর মালিক সাখাওয়াত হোসেন রফিককে লৌহার রড ও লাঠি-সৌটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং গলাটিপে ধরে প্রাণে হত্যারও চেষ্টা চালায়। রফিকের শৌর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রফিক বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাখাওয়াত হোসেন রফিকের মালিকানাধীন ইউনিয়নের বুদ্ধিনগর বাজার সংলগ্ন খামার বাড়ির পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে বিদ্যুৎ অফিসের কাটা করই গাছের ডালপালাগুলো খামার বাড়ি সংলগ্ন ইসমাইল মুন্সি বাড়ির আবু ছায়েদ এর মেয়ে চুরি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রফিক বুদ্ধিনগর বাজারে আবু ছায়েদকে জিজ্ঞেস করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু ছায়েদের ভাই আবদুল মজিদ মাঝি (৩৮) তার ভাই আবদুল লতিফ (৩৫), আবদুল আজিজ (৪০) ও মো. বেলাল (৫০) একত্রিত হয়ে রফিকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসী লৌহার রড ও লাঠি দিয়ে তাকে বেদড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং গলাটিপে প্রাণে হত্যারও চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে রফিক তাদের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে আত্মরক্ষার্থে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়ার আহমদের দোকানে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়েও মারধর করে এবং কোন প্রকার মামলা বা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাকে প্রাণে হত্যা কিংবা গুম করারও হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়র ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করায়।
খামার মালিক সাখাওয়াত হোসেন রফিক জানায়, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ১১ একর ভূমির উপর সে প্রজেক্ট তৈরি করে এবং তাতে মাছ চাষ, ধান চাষ, ফলজ ও কাঠ জাতীয় গাছ লাগিয়ে কেয়ারটেকারের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে আসামীরা এবং তাদের পরিবারের লোকজন গাছের ডাল-পালা, গাছের চারা উত্তোলন ও পুকুরের মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এসব ব্যাপারে তাদের সতর্ক করা হলে উল্টো তারা আমাকে এবং আমার কেয়ারটেকারদের হত্যা ও গুমসহ নানা হুমকি-ধুমকি দেয়। তারই ধারাবাহিকাতায় গতকাল আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আসামীরা আমার উপর এ হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাহেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেজর প্রজেক্ট এর মালিক সাখাওয়াত হোসেন রফিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।