মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চাটখিলে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয়ায় আনন্দ মিছিল  চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের ঈদে ১৪ টি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে প্রিন্স খানের চাটখিলে পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তপ্তদেহ শীতল করতো গাছের নিচে বসেই, গাছ না থাকায় এত গরম সরকার হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর-ধর্মমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজের সাথে যারাই জড়িত, তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী – আনু মুহাম্মদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি

‘দেশ বিক্রি করে তো আমি ক্ষমতায় আসব না’

নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। দেশ বিক্রি করে তো আমি ক্ষমতায় আসব না, এটাই বাস্তব। শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ এর সরকারি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিইনি বলেই আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হলো না। বৃহৎ দুটি দেশ আর প্রতিবেশি দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার কথা ছিল- আগে আমার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, অন্তত ৫০ বছরের মজুত থাকবে। তারপর যেটা অতিরিক্ত থাকবে সেটা আমি বেচতে পারি। তাছাড়া এই দেশের সম্পদ আমি বেচতে পারি না। ‘এই কথা আসলে একটা বিশাল দেশ আমেরিকা আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পছন্দ হয়নি। কাজেই আমি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। অনুষ্ঠানে খাদ্য উৎপাদন ও কৃষির আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি শুরুর দিকেই আমি আহ্বান জানিয়েছি যে, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। সারাবিশ্বের অনেক দেশে এখন খাদ্যের অভাব। অনেক দেশ দুর্ভিক্ষ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। জাতির পিতার ভাষায় বলতে হয়, বাংলাদেশের মাটি আছে, মানুষ আছে, আমরা যেনো খাদ্যের অভাবে আর কখনও না ভুগি। উত্তরবঙ্গ আওয়ামী লীগ সরকার আমলেই মঙ্গা মুক্ত হয়, মঙ্গা মুক্তই থাকবে। বাংলাদেশে কখনও যেন আর দুর্ভিক্ষ হতে না পারে। ‘কৃষিজমি কোনো মতেই যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়; আমরা উৎপাদন করব, উন্নয়ন করে যাব। তবে সে উন্নয়নটা আমাদের কৃষি জমি সংরক্ষণ করেই করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যের অপচয়টা কমাতে হবে, অপচয় যেন না হয়। সারা বিশ্বে কিন্তু একদিকে খাদ্যের অভাব অপর দিকে কিন্তু প্রচুর খাদ্যের অপচয় হয়। এই অপচয় যেন না হয়। বরং যে খাদ্যগুলো অতিরিক্ত থাকে সেটাকে আবার পুনর্ব্যবহার করা যায় কীভাবে; সেটার বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। উদ্বৃত্ত যে খাদ্যটা থাকবে বা আপনি খেতে বসেও যে খাবারটা বেশি থাকবে সেটাও কীভাবে পুনর্ব্যবহার করা যায়, অন্য চাহিদা পূরণ করা যায় কি না- সেটাকেও গবেষণার মধ্যে রাখা দরকার।

কৃষি সম্প্রসারণ ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য চাহিদা ইনশাল্লাহ আমরা পূরণ করে যাব। হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য দিয়েও তাদের খাদ্য চাহিদা আমরা পূরণ করব। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। উৎপাদিত খাদ্যের মান ঠিক রাখার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য শুধু উৎপাদন না খাদ্যের মানটা যেন ঠিক থাকে।’

বীজ উৎপাদনে বিভিন্ন গবেষণা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীজ আমরা উৎপাদন করব, আমরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকবো না। … সরকারিভাবে উৎপাদন করবে, বীজ মানসম্পন্ন বীজ সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।’


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: