বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়ার বায়োপসির রিপোর্ট পাওয়া গেছে, চলছে চিকিৎসা

নিউজ ডেস্ক :: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বায়োপসির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ইতোমধ্যে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে, রিপোর্টের ফলাফল জানাননি তার চিকিৎসক ও বিএনপি নেতারা।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের একটি অংশের চামড়ায় ফোসকার মতো (লাম্প বা চাকা) হয়েছিল। এর কারণ জানতে গত ২৫ অক্টোবর তার বায়োপসি করা হয়েছিল। অপারেশনের দুইদিন পরেই তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসা শুরু করেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা মোটামুটি ভালো। শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক আছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা অনেকটা ভালো। বায়োপসি রিপোর্ট অনুযায়ী ওনার চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।’

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দুদকের মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার কিডনি-লিভার সমস্যা, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস ও চোখের সমস্যা আরও প্রকট হয়। এই কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে বারবার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছে না।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, বয়সের কারণে আমাদের হাসপাতালে যাওয়া নিষেধ আছে। তাই তাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে যেতে পারিনি। শুনেছি তার অবস্থা আগের মতোই আছে। আমরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছি।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে করোনার কারণে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার ছয় মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়।

এরপর আরও তিন দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। গত ১২ অক্টোবর ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর দেখা দিলে কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: