বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

বিষখালী নদীতে ঝালকাঠির কচুয়া টু বেতাগীর ফেরি স্থাপনের চুড়ান্ত অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক :: ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীতে কচুয়া টু বেতাগী ফেরি চালুর জন্য আজ সোমবার ১ নভেম্বর সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয় প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে। গত ৬ অক্টোবর সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল।আরএইচডির কাছে ফেরি চালানোর জন্য জনবল সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছে কমিটি এ তথ্য পেলেই চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপসচিব ফাহমিদা হক খান ফাইল তুলবেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সভা শেষ হয়।

সওজ হেড কোয়ার্টার সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস গত ২৬ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক বরাবরে পএ প্রেরন করে নদীর হাইড্রোগ্রাফি প্রতিবেদন চায়। ২০১৬ সাল থেকে সওজ পএ দিলেও কোন রিপোর্ট সওজ পায়নি। বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব আতিকুর রহমান রুবেল জানার পরপরই বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তিনি নদীর ‍ম‍্যাপ খরচ নিজে দিয়ে গত পহেলা সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক শামছুন্নাহার স্বাক্ষরিত পএ সড়ক পরিবহন অধিদপ্তরে পৌছে দেন। একই সঙ্গে সওজ হেড কোয়ার্টার থেকে চীফ ইজ্ঞিনিয়ার আব্দুস সবুর স্বাক্ষরিত পএ ৬ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

এই পত্রের আলোকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে উপসচিব ফামিদা হক খান ফাইল তোলার পরে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে গত ছয় সেপ্টেম্বর মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, বিগত প্রায় ২৪ বছর থেকে বছর আগ থেকে বিষখালী নদীতে ফেরি চলাচলের দাবি ছিল ওই এলাকার জনগনের। এ ফেরি চালুর বিষয়টি গত ২৫ বছরেও মন্ত্রণালয়ে মিটিং পর্যায়ে কেউ নিতে পারেনি। সম্প্রতি কাঠালিয়া-রাজাপুর আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুন এর সহযোগিতা নিয়ে আতিকুর রহমান রুবেল বিষখালী নদীর কচুয়া টু বেতাগী স্থানে ফেরি স্থাপনের জন্য ফাইল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিয়েছেন। এরপরই প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।

নীতিগত অনুমোদনের পর সওজ থেকে গত ১৯ অক্টোবর জনবল সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরেই চুড়ান্ত প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফাহমিদা হক নথী উপস্থাপন করেন এবং আজ সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে ফেরির প্রশাসনিক অনুমোদন পএ সওজ চীফ ইঞ্জিনিয়ার বরবরে জারি করেন।

খবরটি জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন কচুয়া বেতাগী এলাকার সাধারণ মানুষ। ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য ও কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আমিরুল ইসলাম লিটন বলেন, কয়েক যুগ পর হলেও কচুয়া টু বেতাগী স্থানে ফেরি স্থাপনের চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়ায় জনবান্ধব সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ এমপি বিএইচ হারুন ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আতিকুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞ এলাকাবাসী।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: