শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

বসের গালে চড় মারতে কর্মী নিয়োগ (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক :: তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন না এমন তরুণ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে কখনো কখনো ফেসবুক ব্যবহার নেশায় পরিণত হয়। তখনই ঘটে বিপত্তি। আর নষ্ট হয় মূল্যবান কর্মঘণ্টা। আর তাই একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেন একজন কর্মী নিয়োগ দেবেন, যে ক-না তাকে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেখলে গালে চড় বসিয়ে দেবে।

ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর আগের হলেও সম্প্রতি নতুন করে তা আলোচনায় আসে ধনকুবের ইলন মাস্কের একটি টুইটার পোস্টের সূত্রে। ওই পোস্টের পর থেকেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে এমন অদ্ভুত চাকরি নিয়ে।

কর্মী নিয়োগ করে চড় খাওয়ার কাণ্ড করা ওই যুবক বসের নাম মনীশ শেঠি। ওয়্যারেবল ডিভাইসের ব্র্যান্ড পেবলক- এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি অদ্ভুত কাজের জন্য এক নারীকে নিয়োগ করেন। এই ঘটনা নিয়ে সেসময় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়। ফেসবুক ব্যবহার করলেই মনীশের গালে থাপ্পড় মারবেন ওই নারী, এটাই তার কাজ। এর জন্য তাকে এক ঘণ্টায় বেতন দেন ৮ ডলার।

ওই নারী কর্মীর কাজ হলো সারাক্ষণ বসের পাশে বসে একদৃষ্টে তার ব্যবহার করা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা। যেই না সেখানে ফেসবুক খোলা হবে তখনই মারতে হবে চড়।

২০১২ সালে প্রথম বিজ্ঞাপন দিয়ে এমন অদ্ভুত কাজের জন্য লোক খুঁজতে শুরু করেছিলেন মনীশ। বিজ্ঞাপনে লিখেছিলেন, ‘আমি সময় নষ্ট করলেই আমার ওপর চিত্‍কার করবে। প্রয়োজনে চড়-থাপ্পড় মারতেই হবে।’

এ হেন উদ্ভট বিজ্ঞাপনের সাড়া পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন মনীশ নিজেই। এরপর কারা নামের এক নারীকে এই কাজে নিযুক্ত করেন তিনি।

একটি ব্লগে মনীশ জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন তার প্রোডাক্টিভিটি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। কিন্তু কারা এই কাজে যুক্ত হওয়ার পর থেকে তার কর্মক্ষমতা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৯৮ শতাংশ। আজ থেকে ৯ বছর আগে অর্থাত্‍ ২০১২ সালে যখন প্রথম এমন অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন মনীশ দিয়েছিলেন তখনই তোলপাড় শুরু হয়েছিল। ফের ৯ বছর পর মনীশ শেঠির কাণ্ডকারখানা নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

মনীশের এই উদ্ভট কর্মকাণ্ড নতুন করে ভাইরাল হওয়ার পেছনে রয়েছেন ইলন মাস্ক। টুইটারে কথা বলে একধাক্কায় ক্রিপ্টোকারেন্সির দর বাড়ানোর ক্ষমতা রাখেন বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা অন্যতম এই প্রভাবশালী। এবার তারই সৌজন্যে ফের একবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন ইন্দো-আমেরিকান যুবক মনীশ শেঠি এবং তার আজব কার্যকলাপ।

সম্প্রতি হঠাত্‍ করেই মনীশের একটি ভিডিওতে দুটো ‘ব্লেজ’ ইমোজি দিয়েছেন ইলন মাস্ক। আর তারপর থেকেই লোকজন এই ‘চড়-থাপ্পড়’ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। খোদ মনীশও তা নিয়ে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে টুইটারে।

সূত্র: টিভি নাইন


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: