বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

মুশফিককে বাদ দেয়াটা মন থেকে মানতে পারছেন না রিয়াদ!

নিউজ ডেস্ক :: তার ফর্ম খারাপ। ছন্দে ছিলেন না। ব্যাট অন্য সময় যতটা সচল, সাবলীল আর কার্যকর থাকে- তা ছিল না এবার। এর বাইরে অপ্রয়োজনে বারবার স্কুপ, রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন। পুরো বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচের মধ্যে তিন তিনবার ওই শট খেলতে গিয়েই আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

যা খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে। অতিবড় মুশফিক ভক্তও প্রিয় ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে দলের সংকটে, বিপদে আর প্রয়োজনে এমন শট আশা করেনি। অতি নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত পারফরমেন্স না পেয়েই হয়ত টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলে নেয়নি।

হোক তা বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে। তারপরও একটি সিরিজে বেশি খারাপ খেলায় এবং দায়িত্ব সচেতনতার যথাযথ পরিচয় দিতে না পারায় তাকে একদম দল থেকে বাদ দিয়ে দেয়া- সেটা কতটা যৌক্তিক? তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও মুশফিকের ট্র্যাক রেকর্ড যথেষ্ঠ ভাল। প্রথম দুই ফরম্যাটে মুশফিক দেশের অন্যতম সেরা ও সফল উইলোবাজ। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলার পরিসংখ্যানের আলোকে তার ধারেকাছে কেউ নেই। তার ব্যাট সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত। সংকটে-বিপদে এবং প্রয়োজনে মুশফিকের উইলোই জ্বলে উঠেছে সর্বাধিক। তার দায়িত্ব সচেনতা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ও সর্বোপরি ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য যে কারো চেয়ে বেশি বলেই নামের পাশে বসেছে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল।’

এটা ঠিক যে মুশফিকের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুশফিক তত সফল নন। তার ট্র্যাক রেকর্ডও টেস্ট-ওয়ানডের মত অত সমৃদ্ধ না। তারপরও মুশফিক এক প্রতিষ্ঠিত পরীক্ষিত আর অভিজ্ঞ পারফরমারের প্রতিমূর্তি। তাকে বাদ দিয়ে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশ।

দু’জনই সিনিয়র প্লেয়ার। এক যুগের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কটা অনেক গাঢ়। নিবিঢ়। তারওপর রিয়াদ আর মুশফিক আপন ভায়রা। মুশফিকের না থাকার বিষয়টি কিভাবে দেখছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ?

মুশফিককে বাদ দেয়ার সময় নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট তার মতামত নিয়েছিল কি না? মুশফিক না থাকায় বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রতিক্রিয়াই বা কী? এসব জানতে রাজ্যের কৌতূহল সবার।

আজ ভার্চূয়াল কনফারেন্সেও সে একই প্রশ্নর মুখোমুখি হয়েছিলেন রিয়াদ। মুশফিককে বাদ দেয়ার সময় রিয়াদের মত নেয়া হয়েছিল কিনা আর নতুনদের নিয়ে চাপে আছেন কি না?

জানতে চাওয়া হলে রিয়াদ খুব সাবলীল জবাব দেননি। মানে দিতে পারেননি। তার কথাবার্তা, মুখায়বব ও অভিব্যক্তিই বলে দিয়েছে তিনি জানতেন। তার সঙ্গে কথা বলেই মুশফিককে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে সে বড় সিদ্ধান্তে তার সায় ছিল কি না? তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় আছে।

রিয়াদের কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, তিনি চাননি মুশফিককে বাদ দেয়া হোক; কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তর বাইরে যাওয়াও সম্ভব হয়নি। তাই ভেতরে একটা অসন্তোষ ও দুঃখবোধ রয়েই গেছে।

তাই তো মুখে এমন সংলাপ, ‘আসলে এটা পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। আমি নিজে এই মুহূর্তে আসলে এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি যে আমরা অবশ্যই মুশফিককে মিস করতে যাচ্ছি।’


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: