রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক : পুলিশি হেফাজতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় টানা ১১ রাত ধরে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন শহরে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন প্রতিবাদকারীরা। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।
রাজধানীর ওয়াশিংটন থেকে শুরু করে নিউইয়র্কসহ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। ম্যানহাটনে কারফিউ ভেঙে শান্ত বিক্ষোভ হয়েছে। তবে এখান থেকে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ও সেবিকারাও প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিলেভু হাসপাতালের সামনে মাস্ক, হাসপাতালের পোশাক ও অন্যান্য সুরক্ষা পোশাক পরে একশর বেশি ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।
তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্যই’, ‘বর্ণবাদ আমার রোগীকে মেরে ফেলছে’ প্রভৃতি স্লোগান।
এরমধ্যে শুক্রবার কানাডায় বর্ণবাদবিরোধী র্যালিতে অংশ নিয়ে পুলিশের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। র্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি তিনবার হাঁটু গেড়ে বসে পরেন।
বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ:
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিচারের দাবিতে অস্ট্রেলিয়াতে বিক্ষোভ হয়েছে। করোনা মহামারিতেও সামাজিক দূরত্বে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেন্ট্রাল সিডনিতে তিন হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মেক্সিকোতেও বিক্ষোভ হয়েছে। মেক্সিকো সিটির মেয়র ক্লোডিয়া শাইনবাউম জানান, বিক্ষোভকারীদের উপর নির্যাতন করতে তিনি তার পুলিশ বাহিনীকে নিষেধ করেছেন।
বিক্ষোভ হয়েছে নিউজিল্যান্ডেও। এছাড়া জার্মানির বার্লিনে একটি দেওয়ালে জর্জ ফ্লয়েডের শিল্পকর্ম করা হয়েছে।
বিক্ষোভের সমর্থন জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আমরা বর্ণবাদকে নিন্দা জানাই। তবে যেকোনো ধরণের সহিংসতা কাম্য নয়। আমরা এই উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
সূত্র: সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান