বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

কনকনে বাতাসের সাথে তীব্র শীতে ফুলবাড়ীর জনজীবন বিপর্যস্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা

দিনাজপুর প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লেও কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা কমছে না। বাতাস আর তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ সেলসিয়াস।

এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। তবে দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস।

দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তরের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বায়ু মন্ডলের উপরিভাগে চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা বেড়েছে। ফলে শীতের তীব্রতাও বেড়ে গেছে। তবে আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেও তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা আবারও বাড়তে পারে।

এদিকে কনকনে বাতাসের সাতে তীব্র শীতের কারণে ফুলবাড়ী উপজেলার খেটে খাওয়া আসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। শহর থাকছে জনশূন্য। ক্ষেতমজুররা জমিতে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। উপজেলার মাদিলাহাটের অটোবাইক চালক মিজানুর রহমান বলেন, বাতাস আর তীব্র শীতের কারণে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। বেলা দেড় টা পর্যন্ত আয় হয়েছে মাত্রা ১৫০ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে একই সময়ে আয় হয় অন্তত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ক্ষেতমজুর উর্মি মুর্মু, আদুরী হাঁসদা ও সাবিনা মুর্মু বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে জমিতে বোরো ধান রোপণ করতে গিয়ে শরীর ঠান্ডায় অবস হয়ে যাচ্ছে। অনুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে শরীরের। ইতোমধ্যে কয়েকজন সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে তারাও কয়েকদিনের জন্য কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শীত মোকাবেলার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলার দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে সাত হাজার ৪০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে আরো কম্বল বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে দুস্থ শীতার্তের মাঝে কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: