মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চাটখিলে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয়ায় আনন্দ মিছিল  চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের ঈদে ১৪ টি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে প্রিন্স খানের চাটখিলে পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তপ্তদেহ শীতল করতো গাছের নিচে বসেই, গাছ না থাকায় এত গরম সরকার হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর-ধর্মমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজের সাথে যারাই জড়িত, তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী – আনু মুহাম্মদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি

শেষ রক্ষা হবে না, আইন করেও হুঁশিয়ারি ফখরুলের

নিউজ ডেস্ক :: ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে শেষ রক্ষা হয়নি, তেমনি নির্বাচন কমিশন আইন (ইসি) পাস করেও হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ‘বাকশাল- গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস উপলক্ষে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মাত্র ১১ মিনিটে বাকশাল সংসদে গঠিত হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এইমাত্র খবর পেয়েছি যে, নির্বাচন কমিশন আইন- সেটা না কি এই মুহূর্তে পাস হচ্ছে বা হয়ে গেল। আমি এখনই এটা কাগজে দেখলাম, আইনটা ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় পাস করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি সংসদে দেওয়া হয়েছে। তারপরে এটা সংযোজন বা পরিবর্তন থাকলে সেটা নিয়ে হাউজে উপস্থাপনের জন্য সংসদীয় কমিটিকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও যায়নি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা আজকে হাউজে নিয়ে এসে সেটাকে পাস করলেন!’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সেদিনও বাকশাল করেছিলেন নিজেদের বাঁচানোর আশায়। আজকেও তারা একটা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করলেন, এবারো তারা ভাবছেন এই আইনটা পাস করে তারা বেঁচে যাবেন। কিন্তু তারা ভুলে গেলেন বাকশাল করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঠিক একইভাবে এই নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের শেষ রক্ষা হবে না।’

সাংবাদিকদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, আমাদের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আপনাদেরকে জানিয়েছি যে, এই আইন পাস করার কোনো এখতিয়ার এই সংসদের নেই। কারণ এই সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোনো সংসদ নয়।’

নির্বাচন কমিশন আইন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আইন আমরা মানি না। আর এই হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তারা সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং তাদের পরিচালনায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’

মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব উত্তরের আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, জহির উদ্দিন স্বপন, মীর সরফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: