শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কি হচ্ছে নোয়াখালী আওয়ামী রাজনীতিতে? – মোঃ রফিকুল আনোয়ার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মস্থান বৃহত্তর নোয়াখালী হওয়াতে এবং বিএনপি-জামাত জোট দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এতদঞ্চলের আওয়ামী বিরোধী শক্তির বিস্তার লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর নোয়াখালী অঞ্চলে আব্দুল মালেক উকিল ছাড়া আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতা না থাকায় বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে আওয়ামী বিরোধী শক্তি প্রবল থেকে প্রবলতর হয়। বলতে গেলে নোয়াখালী বিএনপি অধ্যুষিত একটি জেলা। গত এক যুগের অধিক সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও আধিপত্য আন্তঃকোন্দল এবং নিজেদের মধ্যে দলাদলির কারণে গণভিত্তি এবং মাঠ পর্যায়ের জনসমর্থন বিন্দুমাত্রও বাড়েনি দলটির। সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমূহ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, ১২ বছর আগে আওয়ামী লীগের যে জনসমর্থন ছিল, এখন মনে হয় তা দিন দিন আরও নিন্মমুখী। ১২ বছর নোয়াখালীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধন করার পরও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন কোন কেন্দ্রে ৬০/৬৫ ভোট পেতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগকে। স্থানীয়ভাবে দলটি নানাবিধ আন্তঃকোন্দলে নিমজ্জিত যার প্রমান পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক নির্বাচন সমুহে। ওয়ার্ড ইউনিয়ন উপজেলা থেকে শুরু করে আন্তকোন্দল জেলা পর্যন্ত।

২০০৪ সালে কাউন্সিলরদের সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল ভোট পেয়ে একটি লন্ডভন্ড বহু উপদলীয় কোন্দলে নিমজ্জিত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একরাম চৌধুরী ছিলেন আওয়ামী লীগের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। যেখানে আওয়ামী লীগের সমস্যা, সেখানে একরাম চৌধুরী সরব উপস্থিতি দলকে অনেকটা প্রাণচাঞ্চল্য করে তুলেছিল। ধীরে ধীরে দলটির সাংগঠনিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। যে জেলা শহরে রাজনৈতিক শক্তিসত্তার দিকে আওয়ামীলীগ কোনঠাসা ছিল যেখানে দলের শক্তি বাড়তে থাকে। দীর্ঘ তিন দশকের বিএনপি’র সাম্রাজ্যে একের পর এক পেরাগ ঢুকাতে থাকেন একরামুল করিম চৌধুরী। জামাত-বিএনপি’র সাম্রাজ্যে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের একছত্র অধিপত্যি বিস্তার করেন।

বলতে গেলে যুগের পর যুগ বিএনপি-জামাতের অত্যাচারে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নতুন প্রাণ ফিরে পেয়ে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে থাকে। একরামুল করিম চৌধুরী জেলার প্রতিটি উপজেলায় এবং পৌরসভায় সাংগঠনিক ভিত তৈরি করতে থাকেন । ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওবায়দুল কাদের শুরুতেই মন্ত্রী হননি। ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী না হওয়ার কারণে জেলা সদরের সংসদ সদস্য হিসাবে একরাম চৌধুরীর মাঝে দেখা দেয় কিছু দাম্ভিকতা জেলা সদরে সংসদ সদস্য হিসাবে তিনি নিজকে অনেক ক্ষমতাশীল ভাবতে থাকেন। তিনি যাদের কারনে সংগঠক এবং নেতা হয়েছিলেন প্রথমেই তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেন। কাছে টেনে নেন আওয়ামী বিরোধী একটি শক্তিকে। এটাই একরাম চৌধুরীর পতনকে তরান্বিত করে। অনেকে মনে করছেন আজীবন আওয়ামী বিরোধী এই শক্তিটি সুদুর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ নিয়ে একরাম চৌধুরীকে জনবিচ্ছিন্ন করার মিশনে নামে। ক্ষমতার অন্ধ্যে তিনি তখন এই চক্রের পরিকল্পনা উপলব্দি করতে পারেননি। এ চক্রটি দলের সুবিধার ছেয়ে নিজেদের আখের ঘোচাতে ব্যস্ত ছিল। জন্মের পর কখনো আওয়ামী লীগ করে নাই এমন সব ব্যক্তিবর্গ তার চারপাশের স্থান করে নেয়। এরা একরাম চৌধুরীকে এমনভাবে ঘিরে রাখে যে এসময় দলের অনেক ত্যাগী নেতাও ছিল অবহেলিত। সুবিধাবাদী এবং চামচাদের কারনে যে কোন পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে যে কোনো সময় অপমান অপদস্থ, কথায় কথায় দল থেকে অব্যাহতি বহিষ্কারের অভিযোগ রয়েছে একরাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। জেলার প্রতিটি সেক্টরে যেকোন নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন এবং প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ডে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এ সময়। পুরো নোয়াখালীতে এমন অসংখ্য অভিযোগ আছে যে ,টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামাত-শিবিরের চাকরি হত। অভিযোগ রয়েছে সরকারি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জেলা পর্যায়ের শাখাগুলোতে এক একজন টেন্ডার নিয়ন্ত্রক ছিল। ২০১১ সালে ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী হওয়ার পর অলৌকিক কারণে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ সহ জেলার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়ে দেন একরাম চৌধুরীর হাতে। নোয়াখালী -৫ নির্বাচনী এলাকা তথা নোয়াখালীর কোন লোক যদি ওবায়দুল কাদেরের কাছে কোন কাজের জন্য যেত, তিনি সরাসরি বলতেন,একরামের কাছে যাও। রাজনৈতিক সচেতন মহলের পর্যালোচনায় এই “একরামের কাছে যাও” শব্দটাই মূলত নোয়াখালীর রাজনীতির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয় কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নিজ জেলা নোয়াখালী প্রতি তেমন একটা সময় দিতেন না।এই সময় না দেওয়ার সুযোগটি গ্রহণ করেন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা। তারা নিজের মনের মাধুরী সাজিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার এবং রাজনৈতিক শক্তির আড়ালে নানাবিদ অনৈতিক কর্মে জড়িয়ে পড়ে। যার প্রেক্ষিতে জেলার প্রতিটি সেক্টরে বাড়তে থাকে ক্ষোভ হতাশা ও উদ্ভেগ।

বিভিন্ন সুত্রমতে একরাম চৌধুরী একছত্র ক্ষমতা অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডাারি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করেন ২০১২ সালে। ২০০৪ সালের জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী,বঙ্গবন্ধুর কালো মানিক বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ , বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশাসহ দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে বহিষ্কারের পাঁয়তারা করেন তিনি। কিন্তু তার এই সব পাঁয়তারা সফল হয়নি।

২০১৯ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন সম্পন্ন হলেও জেলায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে দীর্ঘদিন একরাম চৌধুরী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন থেকে বিরত থাকেন। এরই মাঝে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা অপরাজনীতির অভিযোগ এনে একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। আব্দুল কাদের মির্জার এই দাবির প্রেক্ষিতে তডিগড়ি করে একরামুল করিম চৌধুরী দলের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেন। যেই কমিটির ২৫ শতাংশ বিএনপি-জামাতপন্থি বলে অভিযোগ উঠে। আটকে যায় একরামুল করিম চৌধুরী কর্তৃক দাখিলকৃত জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। আব্দুল কাদের মির্জা ধারাবাহিক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক বক্তব্যে এক পর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন একরামুল করিম চৌধুরী। মাজরাতে ফেসবুক লাইভে এসে উল্টা পাল্টা বিবৃতি প্রদান করেন তিনি। এই বক্তব্য প্রদানের পরই আব্দুল কাদের মির্জা দল থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন তীব্রভাবে। শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিয়ে অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিমকে আহবায়ক, এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও শহিদুল্লাহ খান সোহেলকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৮৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

আহবায়ক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক খায়রুল আনাম সেলিম চৌধুরী একরাম চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকার সুবর্ণচর উপজেলার চেয়ারম্যান। তিনি বিগত নয় বছর একরাম চৌধুরীর সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আহবায়ক কমিটির অনেকেই নিকট অতীতে একরাম চৌধুরীর খুব কাছের লোক ছিলেন। এদের অনেকেই একরাম চৌধুরীর ক্ষমতাকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সস্প্রতি সদ্যসমাপ্ত কবিরহাট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের ভাইয়ের প্রতি সমর্থন , সুবর্ণচর উপজেলায় নৌকার বিরুদ্ধে সরাসরি ভোট চাওয়া এবং নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার অপরাধে জেলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক কমিটির সভায় একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ আশি শতাংশের সমর্থনে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবী করেছেন। সুত্রমতে গত এক যুগ যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ একরাম চৌধুরী থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হযেছেন তারাও একরাম চৌধুরীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে জেলা আহবায়ক কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিকে ইমেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিটিং এর রেজুলেশনের হার্ডকপি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। এই বিষয়ে আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সহিদ উল্যাহ খান বলেন, “সভায় বিগত পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যারা যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এরপর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ও আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠানোর বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র জানায় একরাম চৌধুরী বহিষ্কারের সুপারিশ সম্বলিত জেলা আওয়ামী লীগের বৈঠকের কার্যবিবরণী দলীয় সভানেত্রীর হস্তগত হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী গ্রুপ দলের হাই কমান্ডকে নোয়াখালীর রাজনীতির প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ মনে করছেন নোয়াখালীর রাজনৈতিক বিষয়াবলী যতটানা সাংগঠনিক তার চেয়ে বেশী ব্যক্তিগত রেশারেশী। দলের যে কোন দূদিনের জন্য এসব রেশারেশী বিপদ ও উদ্দেক জনক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবং পৌরসভা নির্বাচনে একাধিক সংসদ সদস্যসহ অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। জেলা আহবায়ক কমিটি ওইসব অভিযোগসমূহ আমলে না নিয়ে শুধুমাত্র একরাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে ক্ষমতার আওয়ামী লীগ আর বিরোধী দলের আওয়ামী লীগ এক নয়। নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ে একরাম চৌধুরীর ভূমিকা কোন অংশে ফেলে দেওয়ার মতো নয়, বাংলাদেশের কয়টি জেলায় আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় আছে? গাণিতিক হারে হাতেগোনা কয়েকটি জেলা হতে পারে। একরাম চৌধুরী তাঁর নিজস্ব সত্তা দিয়ে ব্যক্তিগত কারিশমায় জেলা আওয়ামী লীগের জন্য একটি আলিশান কার্যালয় করেছেন এ কথা সকলে এক বাক্যে স্বীকার করবেন। আবার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ধরাকে সরা জ্ঞান বানিয়েছে তাও ভুলে যাওয়ার মত নয়। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কি সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেন তা দেখার বিষয়, তবে সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে যে, কি হচ্ছে নোয়াখালী আওয়ামী রাজনীতিতে?

লেখক : মোঃ রফিকুল আনোয়ার, প্রকাশক ও সম্পাদক, দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন।
ইমেইল : noakhalipratidin@gmail.com


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: