বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন

সবজিতে স্বস্তি, মাংসের দাম চড়া

অমর চাঁদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে সবজির মূল্য কমে গেছে। এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে মাংসের বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

গতকাল শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরশহরের পাইকাড়ি বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে সবজির মূল্য কম হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

একাধিক ক্রেতা ও বিক্রেতা জানান, প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। শসা ৫০ থেকে ২০ টাকায় নেমেছে, শজনা ১০০ থেকে ৪০, পটল ১০০ থেকে ৫০, টমেটো ৭০ থেকে ২০, করলা ৮০ থেকে ৫০, পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ২০, আলু ২০ থেকে ১২, আদা ১০০ থেকে ৬০, লেবু ৬০ থেকে ২০ কমলেও বেড়ে কাচা মরিচের দাম। বর্তমানে কাচা মরিচ প্রতিকেজি ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছ ও সবধরণের মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে। বয়লার মুরগি ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০ থেকে ২৭০, পাকিস্তানী মুরগি ২৭৫ থেকে ২৮৫, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ সময় কথা হয় ফুলবাড়ী বাজারে বাজার করতে আসা রিকশাভ্যান চালক আফজাল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, জয়দিন আগে কাঁচা বাজারের যে দাম চালে কিনি না, কাঁচা বাজার কিনি, কামাইও কম। সবমিলিয়ে বেকায়দায় পড়তে হতো। কিন্তু আজকে বাজারে এসে সবজির দাম কম হওয়ায় একটু স্বস্তি পেয়েছি।

পৌর শহরের কলেজ শিক্ষক ল²ন শর্মা জানান, রমজানের শরুতে কাঁচা বাজারে হাজার টাকা নিয়ে আসলেও সে টাকায় তলা-মলা খুঁকে পাওয়া যায়নি, আজকে ৩০০ টাকা নিয়ে বাজারে এসে অনেক কিছুই কেনার পরও ৩০ টাকা বেঁচে গেছে।

ফুলবাড়ী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. মন্টু মিয়া বলেন, কয়েকটি আগে বাজারে সবজির আমদানী কম হওয়ায় বাজারে দাম চড়া ছিল। এখন প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ায় সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ কারণে বাজারে সবজির আমদানীও বাড়ছে তাই বাজারে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, এ বছর উপজেলায় চার হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে আলুসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ শাক-সবজি কম দামে কিনে খেতে পারেন, সেজন্য কৃষকদেরকে বেশি বেশি শাক-সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সার্বক্ষণিক বাজারের দিকে নজরদারি রাখা হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, বিক্রেতারা যেন কোনভাবেই ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে না পারেন, সেজন্য বাজারে অভিযান ও জরিমানা অব্যাহত রয়েছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: