বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসবের দিন ঈদুল ফিতর আজ। লকডাউন, শাটডাউন, মুভমেন্ট পাস এসব বিধি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কেটেছিল গত চার ঈদ। এবার করোনা সংক্রমণের হার কমে গেছে। আবদ্ধ জীবন থেকে বের হয়ে মুক্তপ্রাণে জাতি উদযাপন করবে পবিত্র এ দিনটি।

চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসা। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী ঘরে ঘরে রান্না হবে পোলাও, কোর্মা, পায়েস, পিঠা পুলি। ঈদের নামাজ শেষে চলবে শুভেচ্ছা বিনিময়। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ দিনেই রমজান মাস শেষ হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও এবার ৩০ দিন রোজা পালন শেষে সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনেক সংবাদপত্র ও অনলাইন বিশেষ সংখ্যা বের করেছে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে।

ঈদের আরেক নাম পরম আনন্দ-উৎসব, নতুন জামা-কাপড়। আর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মিলনমেলা, হৈ-হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা। তাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো নামবে মানুষের ঢল। এছাড়া সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করাও ঈদের অন্যতম অর্থ।

করোনার ধকল কাটিয়ে এবার ঈদের কেনাকাটায় প্রাণ ফিরে এসেছিল। চাঁদরাত পর্যন্ত দেদারসে কেনাকাটা হয়েছে। তবে এবার পোশাকের দাম বেশি ছিল বলে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন সামগ্রীও বিক্রি হয়েছে।

ঈদে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহানগরীতে র‌্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

বৈশ্বিক করোনা মহামারির দু’বছর পর এবার স্বাস্থ্যবিধির নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে আনন্দঘন পরিবেশে। ঈদ জামাতগুলোতে মুসল্লিদের নামবে ঢল। দু’বছর বন্ধ থাকার পর এবার রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে বলে এরই মধ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত

প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত হবে।

প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এসময় ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম হবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। খাদেম হাফেজ মো. নাছির উল্লাহ এই জামাতের মুকাব্বির থাকবেন।

ঈদের চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এসময় ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।

এছাড়া পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির হবেন খাদেম মো. রুহুল আমিন।

পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: