বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

বন্যা দুর্গতদের জন্য মানবতার হাত বাড়িয়ে দিন-রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রাচুর্য্যরে নগ্ন্নতা দেখিয়ে দিলো সিলেটের বন্যা। বন্যার ভয়াবহতা গোটা সিলেটজুড়ে। বোবা কান্না করছে মানুষ। চোখের ভাষা, মুখের ভাষা নিমিষে হারিয়ে গেছে বন্যার পানির অপ্রত্যাশিত আঘাতে। আর কত কষ্ট সহ্য করলে তাকে বলি দুঃখ। সেই দুঃখ এখন সিলেটবাসীর ললাটে। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের প্রথম কথিত স্মার্ট সিটি সিলেটের বুক। অথচ এই নগরীকে সাজাতে প্রকল্পের পর প্রকল্প। সৌন্দর্যবর্ধনে কত কিছু। সবই গোল্লায় গেছে বন্যার পানিতে। অসহায়ত্ব কাকে বলে এখন হাড়ে হাড়ে ঢের পাচ্ছে সিলেটের মাটি ও মানুষ। তলিয়ে গেছে সিলেটের শতশত এলাকা। লাখ লাখ মানুষের আর্তনাদ। নারী ও শিশু নিয়ে মহাবিপদ। ঘরে খাওয়ার পানি নেই। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ। পানিতে ভেসে যাচ্ছে কাঁচা ঘরবাড়ি। মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের সন্ধানে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। আগের দিন সন্ধ্যায় যেসব এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পানি ছিল এখন তা বেড়ে গলা সমান হয়ে গেছে। ফলে অনেক মানুষকে ঘরের চালায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। নৌকা না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছে না বানভাসি মানুষ। পানিবন্দিদের উদ্ধারে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার এমন দৃশ্যপটে রয়েছে। ত্রিকর্ম! সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি অর্থবছরে ২০৯ কোটি টাকার কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন। আর গত ১২ বছরে এ খাতে খরচ হয়েছে ৮৬৯ কোটি টাকা। তবুও জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হয়নি। মানুষের আমলে তা ব্যর্থ। একটু বৃষ্টি হলেই সিলেট ডুবে। সারা দুনিয়া দেখে সিলেটের আর্তনাদ। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে চলে এসেছে পানি। ফলে ওসমানী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। তাই বিমানবন্দরের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারতের মেঘালয় থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর প্রবল বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জে হঠাৎ বড় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থান ইতিমধ্যেই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নদ-নদী ও হাওরের পানি উপচে এই দুই জেলার অধিকাংশ একতলা বাড়িঘর ডুবে গেছে। পানির উচ্চতা বাড়ায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই জেলাই পুরোপুরি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুকনো খাবার, সুপেয় পানি আর একটু আশ্রয়ের অভাবে সেখানকার মানুষ চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। দুই জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে মানুষের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম হওয়ায় সেখানেও থাকতে হচ্ছে মানবেতরভাবে। খাদ্য, সুপেয় পানি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা দ্রুত না করা গেলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে ঘরে-বাইরে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে দিশেহারা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ। বন্যার ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় সুনামগঞ্জের পর সিলেটও এখন সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুই জেলার বেশির ভাগ হাসপাতালে পানি ঢুকে যাওয়ায় জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতেও সমস্যা হচ্ছে। পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। তিন বেলা খাবার জোগাড় করাই এখন বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন লাখো মানুষ। এদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের প্রায় সব বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চেনা-অচেনা মানুষ গাদাগাদি করে কোনোরকমে দিন পার করছে। যেখানে ১০০ মানুষ থাকার কথা, সেখানে কয়েক শ মানুষ ঠাঁই নিয়েছে। অনেকে শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। স্থানীয় হাটবাজার তলিয়ে যাওয়ায় শুকনো খাবার কিনে এনে খাওয়ার সুযোগও নেই। অন্যদিকে মোমবাতির সংকটে সন্ধ্যার পর অনেক আশ্রয়কেন্দ্র পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে পড়ছে। অপরদিকে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার কয়েকটি উপজেলা এবং সিলেটের কিছু এলাকার মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না দেশের অন্য প্রান্তে থাকা মানুষেরা। আত্মীয়স্বজনেরা কে কীভাবে আছেন, সে খোঁজ নিতে না পারায় তাঁরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন। সিলেট অঞ্চলে হঠাৎ বন্যায় মানবিক বিপর্যয় হয়েছে। পরপর দুই দফায় বন্যার কবলে পড়ল অঞ্চলটি। প্রতিটি বন্যা হয়েছে কয়েক দিন ধরে অতিবৃষ্টির কারণে। ফলে একদমই আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে, তা বলা যাবে না। এবং প্রতিটি বন্যার ক্ষেত্রে ভারী বৃষ্টির শুরুটা হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী মেঘালয় পর্বতের ওপরে, পরে যা সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপর বিস্তার লাভ করে। এই বছর সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রথম যে বন্যাটি হয়েছে, সেখানে মানবসৃষ্ট কারণ রয়েছে। যেমন:মেঘালয় পর্বতের ওপরে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে বাণিজ্যিক বন কিংবা চাষাবাদ করার জন্য বন পরিষ্কার করা। পক্ষান্তরে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে বাণিজ্যিক বন কিংবা চাষাবাদ করার জন্য যে পাহাড়ি ভূমি তৈরি করা। এমনকি প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করার জন্য মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার পরে খুবই দ্রুত সময়ে এই পানি গড়িয়ে নদীতে পড়ছে ও পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি করছে। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করার জন্য মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় প্রচণ্ড রকমের পাহাড়ি ভূমি ক্ষয় হচ্ছে ও ক্ষয়ে যাওয়া মাটি এসে জমা হচ্ছে সিলেট বিভাগের নদ-নদী ও হাওর এলাকায়। ফলে নদ-নদীগুলোর নাব্যতা আশঙ্কা- জনকভাবে কমে গেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। অর্থাৎ অতিবৃষ্টি, পাহাড়ের ঢাল বেয়ে দ্রুত বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়া, ভূমি ক্ষয়ের কারণে নদ-নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার মতো অনেকগুলো কারণ এক সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই বছর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় একাধিক বন্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক প্রাকৃতিক কারণ হচ্ছে, এই বছর মৌসুমি বায়ু অন্য বছরগুলোর চেয়ে একটু ধীরগতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে যে জলীয় বাষ্প প্রবাহিত করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও বিহার রাজ্যের ওপর সে জলীয় বাষ্পের পুরোটুকুকে প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত করতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে জেটতরঙ্গ অগ্রবর্তী অংশটি। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে ৩০ বছর আগে থেকে বর্তমানে অনেক বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প ধরে রাখছে। যে কারণেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনো নির্দিষ্ট ঝড় থেকে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি ভূমিতে পতিত হচ্ছে আগের চেয়ে। সিলেটের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা ব্যাপক পরিমাণে কমে গেছে মেঘালয় পর্বত এলাকায় প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে চাষাবাদ করার কারণে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জের হাওরে অল ওয়েদার রোড। এই সড়কপথ মেঘালয় পর্বত থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানির স্বাভাবিক চলাচলের জন্য বড় ধরনের প্রতিবন্ধক। এই সড়কপথের কারণে পাহাড়ি ঢলের ফলে আসা বৃষ্টির পানিবাহিত পলিমাটি বা পলিমাটিযুক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের সুযোগ না পেয়ে স্থির হয়ে আছে তিন বছর ধরে। যার কারণে হাওর এলাকার নদ-নদীর নাব্যতা কমে গেছে। আগের পানি সেখানে জমে থাকার কারণে উজানের পানি ভাটিতে নেমে আসার হার কমে গেছে। এ সড়কের নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি, যেটি সাদাচোখে বুঝতে পারাটা কঠিন। কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে এই রকম একটি সড়ক তৈরি করাকে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করার শামিল। রাস্তাটি তৈরির আগে পরিবেশ সমীক্ষা করা হয়েছিল কি না কিংবা হলেও সেই সমীক্ষা স্বাধীনভাবে করা হয়েছিল কি না, তা যথেষ্ট প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার। সুতরাং বন্যা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরী। যেমন: অবকাঠামোগত ব্যবস্থা। এর মধ্যে আছে বাঁধ, ড্রেজিং, ডাইভারশন, স্লুইচগেট নির্মাণ। আর অন্য উদ্যোগের মধ্যে আছে আগাম বার্তা, অধিক হারে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের মতো কাজ করা যেতে পারে। এমনকি বন্যার জন্য ফসলের বিমা একটি উদ্যোগ হতে পারে। আর যেটা দরকার, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানে ব্যাপকহারে উদ্যোগী হওয়া দরকার। আর অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারের আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় নেই। সেটা বাড়াতে হবে। দরকার জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো। ১৯৮৮ সালের মতো ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সেখানে মানুষের সহযোগিতা ছিল অসামান্য। সেসব কিন্তু অনেকটা কমে গেছে। মানুষকে তাই সম্পৃক্ত করতে হবে।জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতিবৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেছে বিশ্বব্যাপী, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম না। মেঘালয়ে বন ধ্বংসের কথা তো বলেছিই, যদিও ভারতীয় সরকারের হস্তক্ষেপে বন ধ্বংসের হার গত কয়েক বছরে অপেক্ষাকৃত কমে এসেছে। তবে ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা পাহাড় থেকে ভূমি ক্ষয়ের কারণে সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলো নিয়মিত নাব্যতা হারাবে। সিলেট অঞ্চলে বনভূমি–পাহাড়–ঠিলা ধ্বংসের বিষয়টাও এখানে মাথায় রাখতে হবে। ফলে প্রতিবছর সিলেটের বড় নদীগুলোতে ড্রেজিং করে নাব্যতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। মানুষ যেহেতু এখনো প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা অর্জন করেনি; প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব না। তবে নিশ্চিত ভাবে মানুষের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের অপেক্ষাকৃত নির্ভুল আবহাওয়া পূর্বাভাসের দুই সপ্তাহ আগে মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হলে জান ও মালের ক্ষতি ব্যাপক পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। বিশ্বব্যাপী সেটাই করা হচ্ছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝুঁকির মধ্যে থাকা শীর্ষ ১৫টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নামও।অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কাতার। নতুন একটি জরিপে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ১৫টি দেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।এরমধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে। এছাড়া, ১৫টি দেশের মধ্যে ৯টি বিভিন্ন দ্বীপদেশ। ২০১৮ বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদনে ১৭২ টি দেশের ভূমিকম্প, সুনামি, হারিকেন এবং বন্যার ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে।জার্মানির রুহর বিশ্ববিদ্যালয় বোখাম এবং ডেভেলপমেন্ট হেল্প অ্যালায়েন্স নামে একটি জার্মান বেসরকারি মানবিক সংস্থা যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ২০১৮ সালকে একটি সচেতনতার বছর বলে আখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। মানুষের মধ্যে এবারই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকাটা কতো জরুরি।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট

raihan567@yahoo.com


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: