আন্তর্জাতিক :: দুই বছর শান্ত থাকার পর গত সোমবার থেকে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আবারও নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন করতে মঙ্গলবার আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর আনাদোলুর।
এ সময় আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেয়হুন বেরামভ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেরগেই ল্যাভরভকে জানান, আর্মেনিয়ার প্রথমে উসকানিমূলক গোলাবর্ষণ শুরু করে আজারবাইজানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয় আজারবাইজান। এ ছাড়া গত এক মাস ধরে তারা নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বোমা পেতে রাখে।
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে করা শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে আর্মেনিয়া অব্যাহতভাবে আজারবাইজানের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করেন আজারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংঘাত বন্ধে ল্যাভরভ দুপক্ষকেই শান্তিচুক্তি পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান জানান। আজারআইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন করে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষের অর্ধশতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার বলেছেন, তাদের ভয় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে হঠাৎ করে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সেটিতে ইচ্ছাকৃত উসকানি দিতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেন থেকে সবার নজর অন্যদিকে সরাতে রাশিয়া এ অপতৎপরতা চালাতে পারে।আজারবাইজানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে সীমান্তে ভারি অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করছিল আর্মেনিয়া। এর পর সেখান থেকে তাদের সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর জবাবেই আর্মেনিয়ান সেনাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ২০২০ সালের দুই দেশের সেনাবাহিনী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর আগে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় দুই দেশ। সেই সময় মারা যান ৩০ হাজার মানুষ।