মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন উর রশিদ ও তার অফিস সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক গং কর্তৃক ৭ শিক্ষকের জিপিএফ ফান্ডের ৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলণ পূর্বক আত্মসাত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
গতকাল রোববার দুপুর ১২ টায় পুরাতন উপজেলার চত্বরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি রাশেদুল আকতার জ্যেতি, সহকারী শিক্ষক রেজাউল আলম, সহকারী শিক্ষক ও ভুক্তভোগী আতাউর রহমান, মাসুদা বেগম, রহিমা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন বক্তারা বলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুর উর রশিদ তার অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর আবু বক্কর সিদ্দিক গং এর যোগসূত্রে ৭ জন শিক্ষকদের জিপিএফ জমাকৃত ৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা জালিয়াতি করে উত্তোলন করে আত্মসাত করে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক স্বপ্না রানী রায়ের জমাকৃত টাকা থেকে জিপিএফ একাউন্ট নম্বর থেকে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা, রহিমা বেগম ২ লক্ষ ৫৯ হাজার, আতাউর রহমান ৭০ হাজার, শামছুন্নাহার বেগম ৭০ হাজার, মাসুদা বেগম ১ লক্ষ, হাজেরা বেগম ৬৬ হাজার, আনিছুর রহমান ৯০ হাজার টাকা। মোট ৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাত করায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ-আল-মারুফ এর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হারুর উর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট হাতে পেলেই যিনি দায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম জানান, যথানিয়মে আমরা উক্ত শিক্ষকদের জিপিএফ ফান্ডের ঋণের অর্থ ছাড় করেছি।