বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

বিলুপ্তির পথে জাতীয় খেলা হা ডু-ডু

সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :: আধুনিক সভ্যতার ক্রমঃবিকাশে হারিয়ে যাওয়া দেশের ঐহিত্যবাহী জাতীয় খেলা কাবাডি বা হা-ডু-ডু খেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, পরস্পরের মধ্যে সপ্রীতির বন্ধন অটুট রাখা, বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল গেম আসক্ত কমাতে ও শরীরচর্চার জন্য গাইবান্ধার সুুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তহশিলদার পাড়া এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে হা-ডু-ডু খেলা।

বুধবার বিকাল ৫ টায় ইউনিয়নের নাজমুলের মোড় নামক স্থানে হা ডু ডু টুনামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচ খেলায় অংশগ্রহণ করে খেলায় বৈরাতী বনাম ধনিয়াকুড়া অংশগ্রহণ করে।

প্রায় বিলুপ্তির পথে জাতীয় এই খেলাকে ঘিরে দুপুরের পর থেকেই তৈরি হয় উৎসব মুখর পরিবেশ। নারী পুরুষসহ সকল বয়সী দর্শনার্থীর খেলা উপভোগ ছিল লক্ষণীয়। হা ডু-ডু খেলার উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আহসান আজিজ সরদার মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল, আযোজক নাজমুল ইসলাম প্রমূখ।

এ সময় উদ্বোধক মিসেস আফরুজা বারী বলেন, আগে দেশের ছেলে মেয়েরা গ্রামীণ খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে রোজ বিকেলে স্কুল ছুটির পরে গ্রামীণ খেলায় মাতোয়ারা থাকতো। তাতে খেলার পাশাপাশি তাদের শরীর চর্চা ও মনন বিকাশ ঘটতো। বর্তমানে সেই জায়গা দখল করেছে লুডু, ক্যারাম, ক্রিকেট, টিভি, কম্পিউটার গেম। বাঙালীর আদি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে “গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন” গঠন করা দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তাতে আগামী প্রজন্ম আমাদের এসব খেলাকে জানতে পারবে, ভুলে যাবে না আমাদের শত বছরের নিজস্ব ক্রীড়া ও ঐতিহ্যকে। তাই দেশের জাতীয় খেলাকে টিকিয়ে রাখা ও যুব সমাজকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে বিকেল বেলায় খেলায় আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সাথে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে প্রতি বছরই আয়োজন করা দরকার। এ ধরনের খেলার আয়োজন করলে দেশে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও তৈরী হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: