বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা কি রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ

নিউজ ডেস্ক :: ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বারবার ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। শীতে ইউক্রেনীয়দের দুর্ভোগ বাড়াতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা জোরদার করা হয়েছে। এতে লাখ লাখ নাগরিক অন্ধকারে জীবন কাটাচ্ছেন।

বারবার ব্ল্যাকআউট দিতে হচ্ছে। ইউক্রেনীয়রা তাপ, বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শীতে যেখানে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করে, সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থা তৈরি করে রাখাটা কি রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ নয়?

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সরকার এবং পশ্চিমা দেশগুলো। তারা এটিকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এতে বেসামরিক লোকজনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তবে যুদ্ধের সময় বিদ্যুৎ অবকাঠামোয় হামলা যুদ্ধেরই অংশ। তাই বলা হচ্ছে— রাশিয়ার এই কৌশল কি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী?

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সামরিক স্থাপনায় ব্যবহার হওয়ার কারণে দেশটির বিদ্যুৎ স্থাপনার কিছুর অংশ রাশিয়ার ‘বৈধ’ লক্ষবস্তু হতে পারে। ১৯৯১ সালে ইরাক যুদ্ধে মার্কিন বাহিনী দেশটির তেল ক্ষেত্রে ব্যাপক হামলা চালায়, যার সমালোচনাও হয়েছিল ব্যাপক হারে।

এর পর ১৯৯৯ সালে সার্বিয়া যুদ্ধে ন্যাটো বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালায়। এ দুটি ঘটনাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে ভুক্তভোগী হয়েছিল সাধারণ মানুষ। এ ক্ষেত্রে একসময় কার্যত গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে সামরিক স্থাপনাকে নিষ্ক্রিয় করতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হতো।

তবে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক ও ইউক্রেনের অবকাঠামোগুলোকে হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত করার বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অবকাঠামোগুলোতেই হামলা চালানো হয়েছে।

সামরিক স্থাপনায় হামলার সময় বেসামরিক মৃত্যু বা হতাহতের ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে ক্ষতির অনুপাত বিবেচ্য বিষয়। তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যে নভেম্বরের হামলায় এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে, আর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গেছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: