শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক :: ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মাদ্রাসা মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেদিন নাকি তারা উড়ে যাবে। জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নয়াপল্টনে এর আগে অনেক সমাবেশ করেছি, তখন তো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এত সমস্যা?’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যে দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে, সেই দেশের সরকার প্রতিদিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী খারাপ কাজ করলেও সমালোচনা করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্র একটাই- যেমন করেই হোক ক্ষমতায় বসে থাকা।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নেই। লুটেরাদের দলে পরিণত হয়েছে। তাই এই সরকারকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। ব্যাংক খালি করা হচ্ছে। রিজার্ভ খালি করা হচ্ছে। সেখানে ৩৭ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকার জন্য জেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের রাজনৈতিক কাঠামো নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে ১১ জনকে গান পাউডার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে ১৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। মেগা উন্নয়নের কথা বলে, বিনা পয়সার সার দেবে, চাল দেবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন আমাদের ছেলেরা চাকরি পায় না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজশাহী এখন উর্বর হয়েছে। ধানের শীষকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের আন্দোলন বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়, তারেক রহমানকে দেশে আনার জন্য নয়, আমাদের আন্দোলন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। আর কতকাল মানুষ কষ্ট করবে। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অর্ধনৈতিক অবস্থায় ধস নেমেছে।’

তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমেই পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে আমরা অনেক নির্যাতিত হচ্ছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। ইলিয়াস আলীর মেয়ে এখনো পথ চেয়ে থাকে কখন বাবা আসবে। এই পরিবেশ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজশাহী থেকেই ১৯৬৯ সালে যখন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুজ্জোহা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি। রাজশাহীর মাটি উর্বর। জিয়াউর রহমানের বাড়িও রাজশাহীর বগুড়াতে।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা, মহানন্দা নদী বেষ্টিত জনতা আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীর জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে। তাতে কি আপনারা ভয় পাবেন? তাতে কী পাবনার লোক ভয় পাবেন?’

গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল মাহমুদ হাসান টুকু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এ ছাড়াও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ আলী ঈশা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: