বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন

কিশোরীর অনিয়মিত মাসিকে কী কী সমস্যা হয়?

মাসিক হচ্ছে নারীদের নিয়মিত শারীরবৃত্তীয় অবস্থা। কিন্তু অনেকেই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে কিশোরীরা এই সমস্যায় বেশি ভুগেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কম বয়সি মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

আমরা জানি, মেয়েদের মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন। গর্ভ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস ও পিটুইটারি দুটো গ্রন্থি। আর ডিম্বাশয় থেকে হরমোনগুলো আসে এবং ডিম ফুটে। পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস ও পিটুইটারি গ্রন্থির মাধ্যমে। এটা আনুষাঙ্গিক পরিপক্ক হতে সময় লাগে। যে কারণে ২০-২২ বছর পর্যন্ত অনিয়মিত মাসিক হতে পারে। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কখন চিন্তিত হতে হবে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. কিশোয়ার পারভীন বলেন, রোগী যদি কয়েকবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এবং তাদের সমস্যা ও অসুবিধা হচ্ছে, তখন তাদের কিছু ইভেস্টিগেশন করতে দেওয়া হয়। তার মধ্যে একটি হলো স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রে বা রিপ্রোডাক্টটিভ সিস্টেমে আল্ট্রা সাউন্ড করে দেখা যে, তার ওভারিতে বা জরায়ুতে কেনো সমস্যা আছে কিনা। ওভারিতে কিছু কমন সমস্যা থাকে, যার মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এই বয়স থেকে অনেকের শুরু হয়ে যায়। ওভারিতে আরো কিছু সমস্যার মধ্যে এন্ডোমেট্রিওসিস বা জরায়ুতে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এজন্য সাথে কিছু হরমোন প্রোফাইল করতে দেওয়া হয়। থাইরয়েডের সমস্যার কারণে কিছু অনিয়মিত মাসিক হতে পারে। প্রোল্যাকটিন লেভেল বেড়ে গেলে অনেক সময় অনিয়মিত মাসিক হতে পারে। এই রিপোর্টের উপর তদন্ত করে দেখার পর আমরা সিদ্ধান্তে আসি তার বা রোগীর এটা কী স্বাভাবিক ফিজিওলজি নাকি কোনো সমস্যা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: