শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

প্রকাশ্যে ইমরান খান-সেনাবাহিনীর বিরোধ, সেনাপ্রধানের নতুন হুমকি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত ৯ মে গ্রেপ্তার করে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। এ গ্রেপ্তারের সঙ্গে ‘সেনাবাহিনীর হাত আছে’ এমন সন্দেহে সেদিন ইমরানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তর এবং লাহোরে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ভাঙচুর করেন।

ওইদিন সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে যারা হামলা চালিয়েছিলেন তাদের সামরিক আইনে বিচার করার হুমকি দিয়েছেন সেনাপ্রধান অসিম মুনির। সোমবার (১৫ মে) কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন হুমকি দেন তিনি।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের ভেতরে ভেতরে যে বিরোধ চলছিল, সেনাপ্রধানের এমন হুমকিতে এখন এটি প্রকাশ্যেই চলে এলো।

কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে জেনারেল অসিম মুনিরের বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। ওই বিবৃতিতে হুমকির সুরে বলা বলা হয়েছে, ‘কর্পস কমান্ডার ফোরাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামরিক অবকাঠামোতে যে কোনো কারণে কোনো হামলা হলে হামলাকারী, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আর কোনো সংযম প্রদর্শন করা হবে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কর্পস কমান্ডার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামরিক অবকাঠামো, সেনা/যন্ত্রাংশের ওপর এ ধরনের হীন হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সামরিক আইন, অফিসিয়াল সিক্রেট আইন এবং পাকিস্তানের সাধারণ আইনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

পাক সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি শক্তি সেনা-সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব প্রচেষ্টা কঠোরতার সঙ্গে দমন করা হবে।

এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রত্যাশা করে সব রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি ঐক্যমতে পৌঁছাবে।

তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালানোর বিষয়টিকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেছেন, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে এসব চক্রান্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘আমি জাতিকে বলতে চাই, আপনাদের এ ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রসহ আন্দোলনের ভেতর ঢোকানো হয়েছিল এবং তারাই এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কাছে ভিডিওসহ প্রমাণ আছে।’


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: