সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
তীব্র গরমে পুড়ছে ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশ। একই অবস্থা এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও। দুদিন আগেই নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল পার করার কথা জানিয়েছে হংকং। এবার জানা গেলো, শুধু চীনের এ শহরটি নয় কিংবা এশিয়াও নয়- এ বছর ইতিহাসের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল পার করেছে পুরো বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবারের গ্রীষ্মের উত্তাপ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে, তা-ও বেশ বড় ব্যবধানে।
১৯৪০ সাল থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রার হিসাব রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়কাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম।
এবারের গ্রীষ্মে উত্তর গোলার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একাংশ, ইউরোপ, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছিল ভয়ংকর গরম। এসব অঞ্চলে রেকর্ডভাঙা দাবদাহের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হারে সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়তে দেখা গেছে।
কোপারনিকাসের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই বাদে বাকি সব মাসের চেয়ে উষ্ণতম ছিল আগস্ট। এই মাসে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০১৬ সালের রেকর্ড গড়া তাপমাত্রার চেয়ে ০.৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
শুধু ভূপৃষ্ঠে নয়, বিশ্বের সামুদ্রিক গড় তাপমাত্রাও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে শক্তিশালী হয়েছে আটলান্টিকের হারিকেন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টাইফুনগুলো।
কোপার্নিকাস জানিয়েছে, জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিনই সামুদ্রিক তাপমাত্রা ২০১৬ সালে গড়া আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ অবস্থায় ২০২৩ সাল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম হবে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এটি যে রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে, তা নিশ্চিত।
বছরের চার মাস বাকি থাকতেই পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম বছরের স্বীকৃতি পেয়েছে ২০২৩ সাল। ২০১৬ সালের রেকর্ড থেকে মাত্র ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে রয়েছে এটি।
বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এল নিনোর প্রভাবে আগামী বছর হতে পারে এর চেয়েও উষ্ণ।
সূত্র: সিএনএন