ক্রীড়া ডেস্ক

তিন সেশনেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে সফরকারীরা। বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বেশ কয়েকটা সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম সেশনে বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিয়ে উইকেটশূন্য ছিল বাংলাদেশ।
নতুন বলে ভালোই শুরু করেছিলেন হাসান মাহমুদ। ক্যাচ মিস না হলে ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারেই প্রথম উইকেট পেতে পারতেন হাসান। তার করা বল অফ স্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাদুশঙ্কা। আউট সাইড এডজে বল যায় স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি।
প্রথম সেশনের ২২তম ওভারে শেষ ডেলিভারিটি বাউন্সার মেরেছিলেন এই পেসার। সেখানে হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন করুনারত্নে। কিন্তু ফিল্ডার সাকিব সীমানা থেকে খানিকটা সামনে থাকায় ক্যাচটি নিতে পারেননি। আরেকটি উইকেট মিস।
লাঞ্চ বিরতির পর ফিল্ডারদের কল্যাণেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিকরা।
ইনিংসের ২৯তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বল কাভারে খেলেছিলেন করুনারত্নে। হাসানের দুর্দান্ত থ্রোতে লিটন দাস উইকেট ভাঙার আগে ফেরত যেতে পারেননি মাদুশঙ্কা। তাতে ৫৭ রানে আউট হন এই ওপেনার।
প্রথম সেশনে জীবন পাওয়া করুনারত্নে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। ৫৬তম ওভারে এই ওপেনারকে থামালেন হাসান মাহমুদ। ৮৬ রান করে এই ওপেনার ফেরায় ভাঙলো ১১৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এটি হাসানের প্রথম টেস্ট উইকেট। এই সেশনে দুই উইকেট তুলতে পারায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে নিয়ে আরও একটা বড় জুটির দিকে এগোচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে কাটা পড়েছেন নার্ভাস নাইন্টিতে। ইনিংসের ৭২তম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন সাকিব। সেটি মেন্ডিসের ব্যাটের ওপরের দিকের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। ১৫০ বলে করেছেন ৯৩ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। মেন্ডিস ফেরায় ভাঙে ৫৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
৮০ ওভার শেষে নতুন বল নেওয়ার পর দুই প্রান্ত থেকেই পেস আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তাতে সাফল্যও মিলেছে। ৮১তম ওভারে হাসান মাহমুদের শেষ বলে তৃতীয় স্লিপে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।