চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চাটখিলে ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা পরিচালনা করায় গত দুই দিনে দুই মাটি ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) কৃষি জমি থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাটি ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চাটখিলে কৃষি জমির মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আরেক মাটি ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মাটি ব্যবসায়ী আবুল কালামকে (৪৭) বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীনের নেতৃত্বে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বানসা বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে কৃষি জমির মাটি উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে একই ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো: হারুনুর রশিদকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো।

স্থানীয় এক বাসিন্দা রফিকুল হুসাইন বাঙলার জাগরণকে বলেন, 'উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কাটার কারণে জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও মাটি পরিবহনের কারণে এলাকার রাস্তাঘাট দ্রুত নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন অভিযানেও এসব মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় না। আমরা চাই, এসব অবৈধ মাটি কাটা ও পরিবহনে স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক।'

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ এহসান উদ্দীন বাঙলার জাগরণকে বলেন, 'বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারেই তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনকল্যাণে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।'

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চাটখিল থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।