নিউজ ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস লিগ 'বড়দের' খেলা। বড় ফুটবলারদের খেলা। আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে জিতে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা পিএসজি কোচ টমাস টুখেল করেছেন মন্তব্যটি। অলিম্পিয়াকোস লিঁওর বিপক্ষে সেটাই প্রমান করল বায়ার্ন মিউনিখ। খুবই সহজে লিঁওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বাভারিয়ানরা উঠে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
লিঁওর হারে অল ফ্রান্স ফাইনাল দেখার আশা শেষ হয়ে গেল। এখন ফাইনালে নেইমার-এমবাপ্পে নাকি লেভানডভস্কি-মুলাররা বড় ফুটবলার তা প্রমাণের পালা দুই কোচের। চ্যালেঞ্জ জেতার পালা নেইমার-এমবাপ্পেদের। প্রথমবার ফাইনালে উঠে দলকে শিরোপা জেতানোর পালা। আর বায়ার্নের ২০১৩ সালের পরে আবার ইউরোপ সেরার শিরোপা ঘরে তোলার পালা।
লিসবনে বুধবার রাতের ম্যাচে সেমিফাইনালের এক লেগের ম্যাচে শুরুতেই গোল করার দারুণ এক সুযোগ পায় ফ্রান্স ক্লাব লিঁও। বড় ম্যাচে বায়ার্নের বিপক্ষে ওমন সুযোগ মিস করার খেসারতই লিঁওকে দিতে হয় ম্যাচের ১৮ মিনিটে। সের্গি গিনাব্রি দারুণ এক বল ধরে অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে জায়গা করে নিয়ে দূর থেকে জোরালো শট নেন। লিঁও গোলরক্ষক তা ফেরানোর উপায় পায়নি।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দলকে ২-০ গোলের লিডটাও এনে দেন জার্মান উইঙ্গার গিনাব্রি। ফাঁকা বল পেয়েও বায়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি বলটা জালে জড়াতে পারেননি। আবার গোলরক্ষক জালে ঢুকে যাওয়া বল কোনরকম ফেরালেও বিপদ মুক্ত করতে পারেননি। গিনাব্রি সহজ শটে ব্যবধান দ্বিগুন করে। দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্ন সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি। তবে ৮৭ মিনিটে হেড থেকে গোল করে লেভি দলকে ৩-০ গোলে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।