হাতিয়া প্রতিনিধি :: বরযাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মো. হাসান (৭) নামে এক শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড। শুক্রবার বিকালে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার টাংকির ঘাটের সন্নিকটে মেঘনা নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৭জন।

কোষ্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেঃ তাহসিন রহমান জানান, বিকালে নিখোঁজদের স্বজনরা নদীতে একটি লাশ ভেসে যাচ্ছে বলে আমাদেরকে জানায়। সাথে সাথে নদীতে টহল দেওয়া অবস্থায় কোষ্টগার্ডের একটি টিম গিয়ে মেঘনা নদী থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। পরে নিখোঁজদের স্বজনরা এটি হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের আব্দুল কাদেরের ছেলে বলে নিশ্চিত করে। হাসান নিখোঁজ হওয়া ৮জনের মধ্যে একজন।

উল্লেখ্য ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাতিয়ার চানন্দী ঘাট থেকে বরের বাড়ী ঢালচরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি ঢালচরের কাচাকাছি এলে প্রবল স্রোতে নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এই ঘটনায় কনে তাছলিমাসহ ৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এক নারী ও ৭শিশুসহ ৮জন নিখোঁজ হয়। এসময় ট্রলারের মধ্যে নারী পুরুষ শিশু সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক ছিল বলে জানান যায়।

কনের পিতা ইব্রাহীম সওদাগর জানায় তার মেয়ে তাছলিমার সাথে হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মেস্তুরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিবাহ হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বরের বাড়ীতে নেওয়ার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।