রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

মোংলায় প্রতারক আব্বাছ জোমাদ্দার কর্তৃক নারীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোংলা থেকে মোঃ নূর আলম : মোংলার দিগরাজে নিলুফা বেগমের ১৩ লাখ টাকা একই এলাকার আব্বাছ জোমাদ্দার, পিতা-মৃত সৈজদ্দিন, সাং-দিগরাজ, থানা-মোংলা কর্তৃক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নিলুফা বেগম কর্তৃক মোংলা থানায় আব্বাছ জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে আগেই একটি জিডি করে এবং গত ১৪ মে বৃহস্পতিবার মামলার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে।

থানায় জিডি এবং লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নিলুফা বেগম জানান সম্পর্কে তার বড় বোনাই আব্বাছ জোমাদ্দার জমি কিনে দেয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু মাত্র ১২ লাখ টাকার জমি কিনে দেয়। বাকী ১৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আব্বাছ জোমাদ্দার টালবাহানা শুরু করে। এছাড়া আব্বাছ জোমাদ্দর বিভিন্ন সময়ে নিলুফা বেগমকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে এবং হামলা-মামলার ভয় দেখাচ্ছে। আব্বাছ জোমাদ্দার বিভিন্ন সময়ে নানা কু-প্রস্তাব দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন নিলুফা বেগম।

নিলুফা বেগম জিডি এবং লিখিত অভিযোগে আব্বাছ জোমাদ্দারকে প্রতারক এবং দাঙ্গাবাজ লোক বলে অভিহিত করেছেন। আব্বাছ জোমাদ্দার ছাড়া আরো যাদের নামে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারা হলো সেকেন জোমাদ্দার, পিতা-রুহুল আমীন জোমাদ্দার এবং সোহেল জোমাদ্দার, পিতা-মোস্তফা জোমাদ্দার। সর্ব সাং-দিগরাজ, থানা-মোংলা, বাগেরহাট। এমতবস্থায় পাওনা টাকা আদায়ে নিলুফা বেগম দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবারের মামলা দায়েরের আশায় নিলুফা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আব্বাছ জোমাদ্দার অস্বীকার করে বলেন আমি আরো নিলুফার কাছে টাকা পাবো। তার ভাই-বোন স্বাক্ষী আছে। যদি নিলুফা প্রমান করতে পারে আমার কাছে টাকা পাবে তাহলে আমি পরিশোধ করবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, নিলুফার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছি। আমরা খোজ-খবর নিয়ে পাওনা টাকা আদায়ে চেষ্টা করবো। তবে যেহেতু আর্থিক লেন-দেন’র ব্যাপার তাই নিলুফার উচিত আদালতে মামলা করা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: