শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

সহিংসতা । বিবাহ । কুলখানি – আজমাইন ফায়েক আবির

চিলেকোঠা ফাটা রোদ তখন
চোখের নালিশে মেঘলা দিনের গান কেমন
কোমরের মালিশের তেল কালো
তুমি বাদলা দিনে শুধু জ্বেলো আলো
ফুটওভার ব্রিজের নষ্ট এলিভেটর
থেমে থাকে স্য়ংক্রিয় সিঁড়ির মোটর
তোমার প্রেমে কাঁটা হয়ে কেউ আছে কী আজও?
তুমি সিথে বাঁকিয়ে আজ বেণী বেধো
রাস্তার জ্যাম শেষ হবে যখন
বাতাসের ঝাপটা গালে লাগবে তখন
শেষ বিকেলে তুমি হাই তোলো
লাল সালোয়ার কামিজ টা বেশি ভালো
রাতের ফাঁকে এখন গুনগুন কথা বলো
আমার অমাবস্যার চাঁদ উজ্জ্বল কালো
পাঠকের ভিড়ে মোদের আনাগোনা
আমার পাশে বসতে তোমার নেই মানা
আমার ইন্ডিয়ান রাইটার্সদের বই আর স্টকে নেই
যাঁকে নিয়ে বাসে বসে কবিতা লিখি তুমি’ই তো সেই
চকিতে আমি এলে; আমাকে দেখে
তোমার মুখচন্দ্রিমা মেঘাচ্ছন্ন
নিরবধি কাল পেরোলো;
আমাদের ধুলো পড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
এক আনা দু’আনার বেলী ফুল কিনে
ইষৎ বর্ণের কবিতা টা আমায় চিনে
সায়রের মাঝি সায়রেতে বিভ্রম
ভুলে যাই লিখতে গিয়ে কবিতা’দের ক্রমঃ
যেমনটা; যেই সন্ধ্যায় তুমি আমাকে ভুলেছিলে
বেলা ফুরাবার কালে তো আমাতে’ই ডুবেছিলে
প্রেম থাকতে প্রেম নিয়ে যত মনোবাঞ্ছনা
বিচ্ছেদ লগ্নে দিয়ে যাও কেবলই গঞ্জনা
কবিতার প্রচ্ছদে আমি দেখি শান্তনা-
খুলে দেখি কবিতা’দের বুকে বুকে যন্ত্রণা
তীব্র যন্ত্রণা!
ভারি বিষ
প্রেমিকের দাবি লাল ঠোঁটের কিস
সেই চুমুতে আছে গরল
গনিতের যোগযিকরণ নিষ্ঠুর তরল
গুহারূপকের ছায়াবাসী মানব
ধাতব পৃষ্ঠে বারী খেয়ে জেগে ওঠা উষ্ণলাল দানব
তেমনই দানবীয় ছিল আমাদের মহাজাতি প্রেম
অয়সদেহ শাসন করা আন্তঃনগর ট্রেন
ফিলোসফি’র ঝাড়ফুঁক চলে মর্ডান সোসাইটির মোড়ে মোড়ে
সোসালিস্ট’দের ভিড়ে আমি এক ঘুমকাতুরে
রঙ্গশালা হোক কিংবা চৌরঙ্গী অথবা সখী রঙ্গমালা-
আমারো বই বেরোবে ভেঙে প্রতিবন্ধকতার তালা,
সবুজ ওড়না কিংবা বইয়ের কোলে ঘুম ঘুম ভাব
তুমি এই নষ্ট হাত ছাড়লে যেদিন;
সেদিন থেকেই আমি চুপচাপ
যুগল ভ্র লেখার ভ্র
কপালে তিল খানি সুরু
হয়তো আমার প্রেম ছিল ভীরু
অরাজকতার মৌচাকে আমার ক্রোধ গুনগুন করে
শুধু তা অম্লরূপে ছুড়ে মারিনা তোমার মুখের ওপরে
কী করবো বলো;
আমি তো আর সহিংস প্রেম রচতে শিখি নি
যেদিন বেজে উঠবে তোমার বিবাহ রথের ধ্বনি
সেদিন আমি মুক্তি পাবো;
জেনো চৌদ্দপুরুষেরা মেতে উঠবে
ভুঁড়িভোজ খেতে খেতে নিয়ে আমার কুলখানি


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: