শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

কনসাল জেনারেলের ইকবাল আহমেদ সেবা পেয়ে খুশি ইতালির উত্তরাঞ্চলের প্রবাসীরা

মিলান (ইতালি) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কন্সুলেট জেনারেল মিলানের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ মিলানে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রবাসীদের সুখের দিন শুরু হয়েছে।

প্রায় দুই যুগ যাবৎ ইতালির মদেনা শহরে সপরিবারে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমুনিটির সুপরিচিত নিজাম উদ্দিন রুবেল বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কন্সুলেট অফিসের সকলের সহযোগীতায় পাসপোর্ট ইস্যু, পাসপোর্ট নবায়ন এবং সার্টিফিকেট সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা অনায়াশে পাচ্ছে প্রবাসীরা। এটা সম্ভ্যব হয়েছে কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ বদলোতে।

তিনি আরো বলেন, এই রকম রাষ্ট্রদূত বা কনসোলার যদি বিভিন্ন দেশে থাকতো তাহলে প্রবাসীদের আর কোন কষ্ট থাকতো না। কাউন্টারে বসে কনসাল জেনারেল নিজেই সার্ভিস দিচ্ছেন এটি সত্যিই হতবাক করার মত। প্রত্যেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ গুলো করে যাচ্ছে।

নিজাম উদ্দিন রুবেল নিজে এবং মদেনা বাসীর পক্ষ থেকে কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ এবং কন্সুলেট অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কে সততা নিষ্ঠা ও দক্ষাতার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সাথে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে ভেনিচ, পাদোভা, তোরিনো, বোলংনিয়ার মতো মদেনা শহরেও অতীতের মতো ভ্রমমান কনসোলার সেবা প্রদান করার দাবী করেন।

প্রায় এক যুগেরও বেশি ইতালির মদেনা শহরে সপরিবারে বসবাসকারী বিশিস্ট ব্যবসায়ী সরদার সুমন হোসেন বলেন, করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ইতালিতে অবৈধদের বৈধকরণের কারণে অতিরিক্ত কাজের চাপ সৃষ্টি হওয়ায় অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেশীদের থেকে অতিরিক্ত সময় এবং দূতাবাস কর্মকর্তাদের ক্লান্তিহীন কাজের কারণে অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায় ফিরে আনতে সক্ষম হয় দূতাবাস সেবা সমূহ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শৃংঙ্খলার সাথে দূতাবাস সেবার মাধ্যমে অনেকটা দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেয়েছে শত শত প্রবাসীরা। তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে ও সকল মদেনা বাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা ইতালিতে সকল বাংলাদেশী প্রবাসী এ ধরনের সার্ভিস আশা করছি।

প্রায় এক যুগেরও বেশি ইতালির মদেনা শহরে বসবাসকারী বিশিস্ট ব্যবসায়ী রাজিবুল হাছান চঞ্জল ও রফিকুল আমিন রুহুল এক কথায় বলেন মিলান কন্স্যুলেট সেবা বরাবরই প্রশংসনীয়। আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট এবং সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

দূতাবাসে বর্তমান পরিস্হিতি জানতে চাইলে কনসাল জেনারেল বলেন, করোনার মধ্যেও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি কনস্যুলেট সেবা দিতে। তবে দূতাবাসের কথা ভেবে প্রত্যেকেরই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে করে কোন অভিযোগ না আসে বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ থেকে। এ জন্য অবশ্যই এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে হবে যাতে করে দূতাবাসের সম্মুখে জটলার সৃষ্টি না হয়। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি পাসপোর্ট ডেলিভারীসহ অন্যান্য কাজ গুলোও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পাদন করতে।

উল্লেখ্য যে, ইতালিতে অবৈধদের বৈধতা দেয়ার কারণে দূতাবাসে প্রবাসীদের ভীড় জমে। অনেকে এপোয়েন্টমেন্ট না পেয়ে সরাসরি চলে আসে দূতাবাসে যার ফলশ্রুতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় মাঝে মধ্যে।

যে সব প্রবাসীরা সেবা নিতে দূতাবাসে আসে তাদেরকেও দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে কারণ আবাসিক এলাকার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে কাজ করতে হয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: