শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে পেটেন্ট আইন খসড়া অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক :: ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২১’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেক্ষেত্রে আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে আইন পাস করা হয়। এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুইটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার রেজুলেশন অনুযায়ী এ দুটি আইন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯১১ সালের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতার জন্য এতো বেশি ডাইভারসিফিকেশন এবং স্পেশালাইজেশন হয়ে গেছে যে একটা আইনে দুইটা কাভার করছিল না। ২০১৬ সালে এ আইনটিকে দুই ভাগ করে একটা পেটেন্ট আইন, আরেকটি ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আইনটি আনা হয়েছে।

জানা গেছে খসড়া আইন অনুযায়ী, পেটেন্ট মালিক ২০ বছরের জন্য পেটেন্ট রাইট পাবেন। ২০ বছর পর এটা পাবলিক সম্পদ হয়ে যাবে। কোনো ক্ষেত্রে যদি জেনেটিক রিসোর্সের অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাবে। পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধান এ আইনে আছে। এ আইনে যেসব মামলা-মোকদ্দমা হবে সেগুলো সিভিল ন্যাচারের হবে। সিভিল কোর্ট এগুলো হ্যান্ডেল করবে।

যদি কেউ চিটিং করে সেক্ষেত্রে আলাদা, সেসব পেনাল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আদেশ পালনে কেউ যদি ব্যর্থ হয় তারা সুপারিশ করেছিলেন ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ। এটাকে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখে উন্নীত করে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, আইনের অধীনে এখানে একটা রেজিস্ট্রারের দপ্তর থাকবে। এ ব্যবস্থার দপ্তর থেকে সবাই রেজিস্ট্রেশন করবে। সেই সঙ্গে সুপারভিশন ও মনিটরিং করা হবে। এ রেজিস্ট্রার ডিজাইনের আইনেরও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিদপ্তর হিসেবে কাজ করবে।

বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল জানান, আগের আইনের অধীনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদপ্তর ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এ অধিদপ্তরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এ আইনের অধীনে শিল্প নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি দেওয়ার সাপেক্ষে শিল্প নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এছাড়া কারো যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রাঅর্ডিনারি কোনোরকম থাকে তিনি দরখাস্ত দিলে তাকে আরও পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হবে। আগের আইনের মধ্যে এটা ছিল না।

পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প নকশা নিবন্ধিত হয় সে নকশা প্রতারণামূলকভাবে যদি কেউ ব্যবহার করে তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবে। মূলত সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: