শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: সদ্য আলোচনায় আসা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আটককৃত, মিজানুর রহমান বাদল (৪৯) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে এবং উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ছিল।

বৃস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে আটক করে।

মিজানুর রহমান বাদলের ছোট ভাই রহিম উল্যাহ বিদ্যুৎ তাঁর ভাইকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভাইয়া নিজেই নোয়াখালী ডিবি পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেন কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করছেনা। তাই তিনি নিজে ধরা দিয়েছেন বলে বিদ্যুৎ দাবি করেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেনের মিজানুর রহমান বাদলকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কোর্টে গেলে জানা যাবে তাকে কোন কোন মামলায় আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিহবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র মির্জা কাদেরের সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের বিরোধের জের ধরে পুরো উপজেলা জুড়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির সহ সিএনজি চালক ও যুবলীগ কর্মি আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। অবশেষে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারি দলের ওপর মহলে। অপরদিকে, বসুরহাট পৌরসভার সামনেও ব্যাপক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা আছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: