শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা

যেকোনো মূল্যে দেশে করোনাভাইরাসের প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ সচিবালয়ে সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকের পর করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশে করোনাভাইরাসের প্রবেশ ঠেকাতে সম্ভাব্য সব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক এবং অন্যান্য রোগের তুলনায় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ভাইরাসজনিত মৃত্যুর হার ইবোলা ও অন্যান্য রোগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে যারা দেশে আসছেন তাদের প্রত্যেককে বিমানবন্দরসহ সমস্ত প্রবেশপথে ডব্লুএইচওর স্ট্যান্ডার্ড ডাবল চেকআপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যারা চীন থেকে বিশেষত উহান থেকে আগত লোকদের ১৪ দিনের জন্য পৃথক অবস্থায় রাখা হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩১২ জন বাংলাদেশিকে চীন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং অন্য ১৭১ জন দেশে ফিরতে চেয়েছেন। এ ১৭১ জনকে দেশে ফিরিয়ে অনার বিষয়ে চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, ৩১২ ফিরিয়ে আনার জন্য যে সব বাংলাদেশি পাইলট চীনে গিয়েছিলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায়, একটি চার্টার্ড বিমানের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, চীন সরকার বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে যে তারা আক্রান্ত বাংলাদেশিদের পাঠাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের চীন থেকে ৩১৬ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। তবে চীন সরকার চারজনকে উচ্চ জ্বরজনিত কারণে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়নি। ফিরে আসা ৩১২ জনের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং বাকিদের ১৪ দিনের জন্য পৃথক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’

তবে এ আটজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সরকারের এ শীর্ষ আমলা বলেন যে চীনা জনগণ, যারা বড় বড় বাংলাদেশি প্রকল্পে কাজ করছেন এবং সম্প্রতি ফিরে এসেছেন, তাদের কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয়েছে এবং চীনের উহান থেকে এ ধরনের কাউকে বাংলাদেশে না আসতে বলা হয়েছে।

চীন থেকে আসা এবং চীনে যাওয়ার জন্য বিমানের ফ্লাইট অপারেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, যে ফ্লাইট অপারেটররা প্রতিদিন মাত্র ১০-১২ যাত্রী পাওয়ায় তাদের বিমান চালনা বন্ধ হতে পারে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: