শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন

মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

 কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেড়ে গেছে। এতে মেঘনা উপকূলীয় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার নিম্নাঞ্চলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুর থেকে বেড়ে যাওয়া এ জোয়ারের পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছেন ওই সব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে রবি ফসলের ক্ষেত।

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার দুপুর থেকে মেঘনার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে থাকে। জোয়ার স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেড়ে মেঘনা নদীর তীরবর্তী কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, হাজীগঞ্জ, তালতলি, চরজগবন্ধু, লুধুয়া ফলকন ও ডিএস ফলকন এবং রামগতি উপজেলার পশ্চিম বালুরচর, বাংলাবাজার, চরআলগী, বড়খেরী, চরগাজী, চরগজারিয়া ও তেলিরচরসহ নিম্নাঞ্চলীয় এলাকাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে ওই সব এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়াসহ রবি ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। মেঘনার ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে এলাকাগুলো প্লাবিত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

পাটারীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম নুরুল আমিন রাজু জানান, মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে ইউনিয়নটির নদী তীরবর্তী লুধুয়া ফলকন ও ডিএস ফলকন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে উঠতি রবি শস্যের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

রামগতি উপজেলার চর আব্দুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নটি চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত হওয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারে চরগজারিয়া ও তেলিরচর এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে ওই সব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য মেঘনা তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছেন বলে তিনি জানান।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: