বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

নোয়াখালী সদরে লকডাউনে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদরে লকডাউন চলাকালে একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা দেয়া ও হামলার অভিযোগ করেছে জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি । এ ঘটনার প্রতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক নামধারী অতিউৎসাহী তরুণরা লক্ষীপুরের রামগতি যাওয়ার পথে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে বাধা দেয়। এসময় তাদের হাতে থাকা লাঠির আঘাতে অ্যাম্বুলেন্সটির সামনের অংশের উইন্ডশীল্ডের একাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা চালককেও মারধর করে।

জেলা অ্যাম্বুলেন্সে চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম জানান, সকাল ১০টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নোয়াখালী ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর লক্ষীপুরের রামগতি যাওয়ার পথে জেলা সদরের কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় ৮-১০ জন তরুণ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো: সুমন ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর স্বজনদেরকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার প্রথমদিন লকডাউন চলাকালীন সময় বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ ওঠে স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে। এ সময় তারা ব্যাংকের গাড়ি,সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভাঙচুর করে। পৌর বাজারে কয়েকটি মাছ ও মাংসের দোকানে হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আামরা এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাই নাই। যারা এধরনের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলে আাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, এবিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স মালিক বা চালক কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসে নাই। তবে আমি শুনেছি অন্যজেলা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে কিছু মানুষ আসার পথে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতান্ডা হয়েছে। পরে জেলার রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়ে গেছে। লকডাউন ঘোষিত এলাকাগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৬টি মোবাইল কোর্ট কাজ করছে।

উল্লেখ্য, জেলায় করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে গতকাল মঙ্গলবার ভোট ৬টা থেকে নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত লকডাউন চলছে। সকাল থেকে দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‌্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। লকডাউন অমান্য করায় বেশকিছু গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। এদিকে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট ৩১ জনের মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে ১১০১ জন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: