শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

কাতারে যেমন আছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা

পরিবারের সবাই একটু ভাল খাবে, ভাল থাকবে এই লক্ষ্যে আপনজন ছেড়ে দিনরাত কাজ করেন প্রবাসী শ্রমিকরা। কাতারে আছে এমন প্রায় চার লাখ শ্রমিক। যাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় বাঁচে দেশের অর্থনীতি। দেশের আমদানি খরচ মেটায় সরকার। কিন্তু সেই শ্রমিকদের জীবনে অপ্রাপ্তিটাই যেন নিত্যসঙ্গী।

কাতারের রাজধানী দোহা। চকচকে সড়ক। শহরজুড়ে বিলাস বহুল অট্টালিকা আর দামী গাড়ি। দেশটির এসব অট্টালিকা আর সড়ক তৈরিতে আছে অবদান আছে বাংলাদেশী শ্রমিকদের।

আপনজনদের একটু ভালো থাকার নিশ্চয়তা দিতে তীব্র গরমের এই দেশে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। শহর থেকে কিছুটা দূরে আল রাইয়ান এলাকার শ্রমিকরা বলছিলেন নানা অপ্রাপ্তির কথা।

শ্রমিকরা জানান, সবাই চায় ভালো থাকতে। তাই প্রবাসীরা শত কষ্ট সয়ে হলেও পরিবারকে ভালো রাখতে চায়।

এক রুমে গাদাগাদি করে থাকেন ৮ জন। জানান এই দেশে কেউ ছোট কাজ করলেও কোথাও সম্মান হারাতে হয়না। অথচ দেশের এয়ারপোর্টে পা দিয়েই তাদের ভাগ্যে জোটে তাচ্ছিল্য।

দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নানান ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় উল্লেখ করে প্রবাসীরা জানান, অন্যান্য দেশের বিমানবন্দরে খুব দ্রুত সব কিছু হলেও দেশে ফিরে নানান ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা সারতে লাগে বহু সময়।

এছাড়া সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বও যথাযথ না পালনের অভিযোগ করেন তারা।

তারা বলেন, আমরা দেশের জন্য, পরিবারের সুখের জন্য, সবার সুখের জন্য প্রবাসে এসে কষ্ট করছি। আমরা আমাদের নিজেদের কথা ভাবিনা। আমরা একেক জন যোদ্ধা।

দেশে যাবার সময় আপনজনের সাধ আর সাধ্যের সাথে মেলবন্ধন হয়না। তাই অনেক সময় সুযোগ থাকলেও যাওয়া হয়না দেশে।

এক প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, অনেক সময় অসুস্থ হলেও চিকিৎসকের কাছে যান না তারা। কারণ চিকিৎসকের খরচ দিলে তা তাদের আয়ের ওপর প্রভাব পড়ে। পরিবার এবং অন্যদের সুখের চিন্তা করে তারা কষ্ট করে হলেও দেশে টাকা পাঠান।

এমন ছোট একেকটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকা এই শ্রমিকদের জীবনে বিনোদন বলতে কেবল নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টা আর সবাই মিলে একটু ঘুরে বেড়ানো।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: