রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক ডাউকিয়া কাটাবাড়ীয়া মোড় এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে গাছ ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বিক্ষোভ ও পিকেটিংয়ের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম।
এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, কুলিয়ারচর ও ভৈরবে বিএনপির তিনকর্মী হত্যাসহ সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। হুমকি দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে, দমন নিপীড়ন করে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এবার জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।
এছাড়া সকালে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের সতাল এলাকায় অবরোধের সমর্থনে সংক্ষিপ্ত মিছিল বের করে জেলা ছাত্রদল ও যুবদল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সটকে পড়েন তারা।
অবরোধে তেমন কোনো প্রভাব না পড়লেও দূর পাল্লার সব সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের হামলা, গুলিবর্ষণ এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক ও আহত করার প্রতিবাদে পরের দিন রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। একদিন কর্মসূচি বিরতি দিয়ে আবার ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। আজ বিএনপির ডাকা অবরোধের শেষ দিন।
গত মঙ্গলবার বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় জেলার কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে ও ভৈরবে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সে সময় কুলিয়ারচরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন এবং পরদিন ভৈরবে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এনিয়ে জেলায় তিন বিএনপি সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধের মধ্যেই গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আধা বেলা হরতাল পালন করে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি।