রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

‘চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুহার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’

কিছু চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং অবহেলায় রোগীর মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ জানুয়ারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘প্রসূতির পেট ছিল কাটা, মা-সন্তান দুজনই মৃত’ শীর্ষক সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে। ওই সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরগুনার বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তার (১৯) নামে এক তরুণীকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রুত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বরিশালে যাওয়ার পথে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভান্ডারিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মা ও নবজাতক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ের অবতারণা করে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, অমানবিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সম্প্রতি ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কতিপয় চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং অবহেলার কারণে রোগীদের হয়রানি এবং কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাবে যত্রতত্র অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসক এবং নার্সরা ন্যূনতম যোগ্যতা ছাড়াই অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসব অনুমোদনহীন হাসপাতাল চিহ্নিত করে বন্ধ করার পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) এবং জেলা জজ মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে বুধবার কমিশনের কাছে সংযুক্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কমিটির সুপারিশগুলো বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বেঞ্চ সভায় আলোচনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: