শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

লক্ষ্মীপুরে নদী ভাঙনে হুমকিতে নৌবন্দর

নিউজ ডেস্ক : পানি কমা শুরু হতেই নতুন করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রহমতখালী নদীর (খাল) ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে হুমকির মুখে ঘোষিত মজুচৌধুরীর হাট নৌবন্দর। নদীর দু’পারের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ভাঙনরোধসহ রাস্তাঘাট মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেঘনায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার চর রমণীমোহন এলাকার বাঁধ ভেঙে রহমতখালী নদীতে প্রবেশ করে পানি। সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাতে লক্ষ্মীপুর জেলাসহ নোয়াখালী-কুমিল্লা জেলার জমে থাকা পানি মেঘনায় সরতেই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় রহমতখালী খালের দু’পাড় ভাঙছে। বরাদ্দ না থাকায় সম্ভব হচ্ছে না জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণকাজ।

স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুরের চর রমণীমোহন, কালিরচর এলাকায় ১০ কিলোমিটার ভাঙনে পুকুর, মৎস্যঘের,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এবার পানির উচ্চতা বেড়ে রহমতখালীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙছে। এতে আতঙ্কিত নদীপারের মানুষ।

ভাঙনের শিকার চর রমণীমোহন এলাকার নয়ন আক্তার ও ক্ষতিগ্রস্ত মমতাজ বেগম জানান, অতীতে এমন এমন জোয়ারের পানি দেখেননি তারা। সেই পানি বিভিন্ন স্থান হয়ে রহমতখালী নদীতে প্রবেশ করে। এখন রহমতখালীর পানি মেঘনায় সরতেই প্রবল স্রোতে শুরু হয়েছে ভাঙন।

কৃষক সফিক মিয়া জানান, রহমতখালী নদীতে এ পর্যন্ত চার-পাঁচবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন তিনি। নদীতে ভেঙেছে তার বাড়িঘর। এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে তাকে।

স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, ভাঙনে কালিরচর এলাকায় দুটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসাসহ দুই শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার শফিক উল্লাহসহ অনেকেই বিষয়টি লিখিতভাবে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে দ্রুত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

আইনজীবী হারুন অর রশিদ জানান, কয়েক বছর ধরে কালিরচর এলাকায় রহমতখালী নদীর ভাঙন চলছে। এ বছরও শত পরিবারের ভিটেমাটি চলে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি ভাঙন প্রতিকারে বাস্তবায়ন হয়নি আজও।

চর রমণীমোহন ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়াল জানান, লক্ষ্মীপুরসহ তিনটি জেলার পানি সরতেই রহমতখালীর রহমত এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। নতুন করে চরমহনী বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। এখন সরতেই ভাঙছে। হুমকির মুখে রয়েছে এলাকার একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চর রমণীমোহন ডা. আব্দুল হক উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এমএম জাহাঙ্গীর জানান, রহমতখালী খালের দু’পাড়ের ভাঙন রোধে বড় ধরনের বাজেট বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরাদ্দ পেলে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: