শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি এবং আমলাদের একাত্মতা জরুরি।
শনিবার (১ জুন) সকালে আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের জেলা রিসোর্স টিম (ডিআরটি)-এর প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সমন্বয় না থাকলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়, যা কখনও দেশের উন্নয়নের জন্য সুফল বয়ে আনবে না৷ আমাদের দারিদ্র্যের হার একসময় ২৫ শতাংশ ছিল। এখন সেটা ১৮ শতাংশ, অতি দরিদ্রের হার এখন ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই অর্জন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে, কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায় না।
স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করার জোর দিতে মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আজ যে দক্ষিণ কোরিয়াকে আমরা দেখি, এটি আগে এমন ছিল না। এদের অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। শুধু তাই নয়, মানবিক প্রয়োজনীয়তার সকল উপাদান ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু পার্ক চুং হি যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে দেশের সব মানুষকে একটি বিনিসুতায় বাঁধেন৷ স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করেন। আজ দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। আমাদেরও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে৷
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এনপিডি) মোহা. শের আলী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারাত্নেসহ অনেকে।