শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

পাঠকের অপেক্ষায় গ্রন্থমেলা

প্রথম দিন থেকেই এবার বেশ গোছানো অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রায় আট লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে শুরু হয়েছে এই মেলা।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেলার প্রবেশদ্বার। এরপরই প্রকাশকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাদের স্টলে। কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণে নেই ক্রেতাদের তেমন ভিড়। তবে সন্ধ্যা নামতেই লোকজন আসতে শুরু করে, তাদের বেশির ভাগই দর্শনার্থী।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘মেলায় বিক্রি বাড়তে থাকে মূলত প্রথম দশ দিনের পর। প্রথম দিকে অনেকেই ঘুরতে আসেন। খোঁজ নিতে থাকেন নতুন বইয়ের।’

বিগত বছরে মেলা শুরুর দু-তিন দিন পর্যন্ত স্টলের নির্মাণকাজ চলতে দেখা গেলেও এবার একটু ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। মেলা শুরুর আগে থেকেই স্টলের নির্মাণকাজ শেষ করেছেন প্রকাশকেরা। ফলে প্রথম দিন থেকেই মেলা হয়ে উঠেছে নান্দনিক।

এ ছাড়া স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করেছে মেলাকে নান্দনিকভাবে সাজাতে। ফলে স্টল বিন্যাসের প্রশংসা ঝরেছে প্রকাশকদের কণ্ঠেও।

অন্য প্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের মেলার স্টল বিন্যাস অনেক নান্দনিক হয়েছে। আয়তনের দিক থেকে আরও বড় পরিসরে মেলা হওয়ায় প্রতিটা স্টলের সামনেই রয়েছে পর্যাপ্ত জায়গা। সামনে লোকজনের বসার জন্য বেঞ্চ দেওয়াতে বইপ্রেমীরা মেলায় বই কেনার পাশাপাশি আড্ডায় মেতে উঠতে পারবেন। এখন শুধু বইপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা।’

এবারের মেলায় ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমি-সহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৫২টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৬টি উন্মুক্ত স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করছে।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাইরের মোট ৬টি পথ রয়েছে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নিরাপত্তাকর্মীরা।

বিগত বছরের মতোই মেলার প্রথম দিনে লেখক বলছি মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় লেখকদের আড্ডা। প্রথম দিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধান রিবেরু, রেজা ঘটক, সৌম্য সালেক, সাইফুল ভূঁইয়া।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: