শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

আবারো অভিযানে পরিবেশ অধিদফতর

নিউজ ডেস্ক : করোনার মধ্যেই পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আবারও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতর। অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা করোনার জন্য ৩ মাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেনি। বৈরী পরিবেশের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ পরিবেশ দূষণ করেই চলেছে। এদের রুখতেই মহামারির মধ্যেই অভিযানে শুরু করেছে। গত ৩ মাসে পরিবেশ দূষণের মতো ৫০ টি অভিযোগ পেয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। এরমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৪২ টির মতো। বড় অভিযোগের মধ্যে পলিথিনের কারণে পরিবেশ দূষণ, হাসপাতালের বর্জ্য পরিশোধনাগার না থাকা, কারখানায় দূষণ উল্লেখযোগ্য৷

পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের কাছে গত ৩ মাস প্রায় ৫০ টির মতো পরিবেশ দূষণের অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ৪২ টি নিষ্পত্তি করা গেছে।এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে আমরা যেগুলোর জন্য অভিযান প্রয়োজন মনে করি সেগুলো আমাদের এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠাই। তারা তখন সে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। তিনি জানান, ঢাকা ছাড়াও, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী থেকেও আমরা অভিযোগ পাই। এসব অভিযোগ আমরা বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠাই সেখানে তারাও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। তিনি বলেন, এনফোর্সমেন্ট শাখা বা বিভাগীয় শাখাগুলো অভিযোগ নিষ্পত্তির পর সেগুলো আমাদের আবার জানায়।

তিনি জানান, এর বাইরেও আরও কিছু অভিযোগ আমরা পাই। বনের গাছ কাটা হচ্ছে, রাস্তার ধারের গাছের ক্ষতি করছে এমন ধরনের অভিযোগও আমরা পাই। সেগুলো আমরা সাধারণত বন বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠাই। সেগুলোর ফিডব্যাক আমরা পাই না।

এদিকে এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউনের আগে সর্বশেষ ৩ মার্চ অভিযান পরিচালিত হয়। এরপর আবার ১৪ জুলাই থেকে অভিযান শুরু করা হয়। গতকাল পর্যন্ত তারা ৯ টি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এরমধ্যে চলতি মাসের ২৫ আগস্ট ময়মনসিংহের চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার ছাড়া পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে হাসপাতাল করায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে ২৪ আগস্ট চকবাজারের ইসলামবাগের দুইটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬০০০ কেজি পলিথিন উদ্ধার করে এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২৩ আগস্ট আশুলিয়ায় একটি অটোরাইস মিলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া কারখানা স্থাপনের দায়ে এই জরিমানা করা হয়। ১৮ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের ৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে হাসপাতাল করায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং গাজীপুরের ১ কারখানাকে ১ লাখ ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১৬ আগস্ট পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে হাসপাতাল করায় উত্তরের একটি হাসপাতালকে ৫ লাখ টাকা এবং ডেমরার একটি হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ১০ আগস্ট পরিবেশ দূষণের দায়ে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলার চারটি কারখানাকে ২৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এই অভিযানগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের পর তিন মাস আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। এই সুযোগ নিয়েছে অনেক কারখানা। আর সুযোগ পাবে না পরিবেশ দূষণকারীরা। জুলাই থেকে আমরা পুরোদমে আবার কাজ শুরু করেছি। প্রতি সপ্তাহেই দুই থেকে তিনটি অভিযান করা হয়। এছাড়া বিভাগীয় কার্যালয়গুলোও অভিযান চালাচ্ছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: