শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অপচেষ্টা চলছে
নিউজ ডেস্ক :: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারী নির্যাতনবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে কেউ কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে কেউ কেউ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন, তাদের উদ্দেশ্য অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া নয়, এই ইস্যুর আড়ালে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই কথা বলেন।
এ সময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মজিদ, নূরে জান্নাত আকতার সীমা ও কাউন্সিল সচিব শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ইদানিংকালে যে সমস্ত অনভিপ্রেত ঘটনা, বিশেষ করে নারী ও শিশুনির্যাতন ঘটেছে, সেগুলোর অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, প্রতিবাদ হবে, সেটা স্বাভাবিক এবং প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষে ব্যবস্থা নেয়াও সহজ হয়।
তিনি বলেন, এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা সেখানে সরকারের পদত্যাগ চায় কিংবা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করে, বুঝতে হবে তাদের উদ্দেশ্য নারী এবং শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি দেওয়া নয়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ইস্যুর আড়ালে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা।
বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।
তথ্য মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তথ্য মন্ত্রণালয় এ ধরনের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে বহু আগে থেকেই প্রচার কাজ চালিয়ে আসছে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এক্ষেত্রে কাজ করছে। আজকের প্রেক্ষাপটে এবিষয়ে প্রচার কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। একইসঙ্গে ওটিটি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে যাতে দেশের আর্থসামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পরিপন্থী কিছু আপলোড করা না হয়, সেজন্যও মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সবার সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় প্রতিবেদন উপস্থাপন ও সম্পাদনা কার্যাবলীর জন্য প্রেস কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনটি তিনি প্রথা অনুযায়ী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন।
