রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের পেক্ষাপটে মাস্ক ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠকের পর হওয়া এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের যতগুলো ইন্সটিটিউশন আছে, সোশ্যাল, অর্গানাইজেশনাল বা ফরমাল প্রতিষ্ঠানে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এক নম্বর হলে- নো মাস্ক নো সার্ভিস। তারপর হল সব জায়গায়, সব প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, শপিংমল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মিলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমারা এটা কম্পালসরি করে দিয়েছি।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ডিভিশনাল কমিশনারদের ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টার দেওয়া থাকবে–মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না এবং মাস্ক ছাড়া কেউ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে যে- দিনে দুইবার নামাজের পর প্রচার করার জন্য যে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আলেমা-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, উনারাও এটা শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে-এক্ষত্রে সমস্যা হবে না। শুরুতে করোনা সম্পর্কে আতঙ্ক থাকলেও এখন ডাক্তার-স্টাফরাও আর অত ভয় পাচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতে কোভিড ও নন-কোভিড দুটোকে আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলেই কোভিডের আলাদা বিভাগ হয়ে গেছে। হয়তো অন্য রোগীদের সেবা পেতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। গণপরিবহনে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সড়ক সচিব, নৌপরিবহন সচিব ও রেল সচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানেই একটা ওয়ার্ক আউট করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন ৯৩টি কেন্দ্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে, এরমধ্যে ৫০টি বেসরকারি। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক এবং চার হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৪ জন টেকনিশিয়ান ও সহকারীকে নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ হাজার ১০০ চিকিৎসক এবং এক হাজার ৭০০ নার্সকে আইইডিসিআরের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ম্যানেজমেন্ট ও ইনফেকশন প্রিভেনশন কন্ট্রোল বিষয়ে ওরিয়েনটেশন দেয়া হয়েছিল। যার ফলে তারা মাঠপর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি পুরো কাজ মনিটর করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনার আলোকে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোটকল অনুসারে এ যাবত গৃহীত কার্যক্রমের পাশাপাশি সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। কোথা থেকে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পেতে পারি, সে বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জারি আছে। প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে কাজ চলছে। সরকারি- বেসরকারি সব পর্যায়েই অ্যাফোর্ডগুলো নেয়ার জন্য বলেছে। চীনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের ফান্ডিংয়ের সর্টেজ রয়েছে। সেটা নিয়ে তারা, আলোচনা করেছে। বাংলাদেশের কাছে ভ্যাকসিনের জন্য কিছু অর্থ চাইবে।