বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

কানাডায় এ বছর জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না ক্রিসমাস

নিউজ ডেস্ক :: কানাডায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান ক্রিসমাসকে ঘিরে প্রতি বছর চলে নানা আয়োজন। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন হচ্ছে না ক্রিসমাস। কানাডায় এ সময় চলে ছুটির আমেজ, দেশটির নাগরিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ-ফুর্তিতে নিজেদের মধ্যে সময় কাটান। আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয় অফিস আদালত আর কেনাকাটার বিভিন্ন মল। পরিবহনগুলিতে লেখা হয় ‘হ্যাপি হলিডে’। যেন এক আনন্দের আমেজ। সবকিছু ঠিক থাকলেও এ বছর করোনার কারণে সবকিছু ম্লান।

কানাডার বাসিন্দা পারিনা জ্যাকব বলেন, প্রতি বছরের মতো এবার হয়তো ঘটা করে অনুষ্ঠান করতে পারব না, তবুও পরিবার-পরিজনের জন্য কিছু উপহার কিনব। এ বছর আমরা ভার্চুয়ালি প্রার্থনা করব ঈশ্বরের কাছে। আমাদের একটাই প্রার্থনা, আমরা এই মহামারি থেকে মুক্তি চাই। ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুন।

জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই এই মুহূর্তে বড় কথা। সমগ্র বিশ্ববাসীর সুখ-শান্তি কামনা করে এ বছর আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব। করোনা মহামারির এই সময়ে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের প্রিমিয়াররা বাড়তি সতর্কতা নিয়েছেন। ম্যানিটোবা প্রিমিয়ার ব্রায়ান প্যালিস্টার তার প্রদেশকে সমাবেশ ছাড়াই ক্রিসমাসের পরিকল্পনা করার কথা বলেছেন।

এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটিকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে কানাডা। ক্রিসমাসের আগেই এটি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে হেলথ কানাডা।

স্বাস্থ্য খাতের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হেলথ কানাডার প্রধান উপদেষ্টা ড. সুপ্রিয়া শর্মা জানান, হেলথ কানাডার পর্যালোচনায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে অগ্রসর এবং নিরাপদ মনে হয়েছে। ক্রিসমাসের আগেই এর ব্যবহারের অনুমোদন দিতে হেলথ কানাডা কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ক্রিসমাসের আগেই ভ্যাকসিন অনুমোদনের পরিকল্পনা নিয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ হাজার ৩২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪১১ জন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: