বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ আত্মঘাতী

দেশের সর্বত্র আজ নৈরাজ্য। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজ বিশৃঙ্খল। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্য, রাজনীতি এক কথায় সর্বত্রই যেন মানের অবনমনের মহামারী লেগেছে। শিক্ষাও এ থেকে ব্যতিক্রম নয়।

১৯৫০ বা ১৯৬০-এর দশকে ‘শিক্ষা’ ও ‘ডাক’ বিভাগকে অনেকটাই দুর্নীতিমুক্ত বিভাগ বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন আর তা করা যায় না।

শিক্ষা ক্ষেত্রে এখন ব্যাপকভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ দুর্নীতি একেবারে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিস্তারিত। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ‘ফেয়ার প্লে’ হয় না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও প্রভাষক নিয়োগে রয়েছে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ।

মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ করতে না পারলে শিক্ষার উন্নয়ন হবে কীভাবে?

নিুপর্যায়ের শিক্ষা নিয়ে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যত রকম এক্সপেরিমেন্ট করেছে, তার প্রায় সবই ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে ‘একমুখী শিক্ষা’, ‘সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষা’ কোনোটিই সাফল্যের মুখ দেখেনি। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও অনুশীলনের পরিবর্তে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাণিজ্য।

জ্ঞান বিতরণের মহান লক্ষ্যকে কোণঠাসা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ব্যবসায়ীরা আর্থিক মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে নৈরাজ্য। এ শিক্ষা ব্যবসায় স্বদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরাও।

রাজধানীর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কূটনৈতিক মিশন স্কুল পরিচালনা করছে। তাদের ওপর সরকারের বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।

এসব স্কুল ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ইচ্ছামতো বেতন নেয়, শিক্ষকদেরও ইচ্ছামতো বেতন দেয়। তুরস্কের টার্কিশ হোপ স্কুল এখন রাজধানী ছাড়া চট্টগ্রামেও তাদের শিক্ষা ব্যবসা প্রসারিত করেছে।

স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষাদান মানসম্পন্ন করা না গেলে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ছাত্রছাত্রী পাবে কেমন করে? দুটি কারণে স্কুল পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটি কারণ হল, মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ করতে না পারা এবং অন্য কারণটি হল, নিয়োগকৃত শিক্ষকদের শিক্ষকতাকে নেশা হিসেবে না নিয়ে চাকরি হিসেবে গ্রহণ করে অর্থ উপার্জনের পেছনে ছোটা।

এর ফলে ক্লাসরুম টিচিংয়ে শিক্ষক যতটা মনোযোগী হচ্ছেন, তার চেয়ে তিনি অধিক মনোযোগী হচ্ছেন কোচিং বাণিজ্যে। ফলে স্কুলের সংখ্যা বাড়ছে, শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে; কিন্তু মানসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে না। শিক্ষার্থীরা ফার্মের মুরগির মতো ছকে বাঁধা বিদ্যা আয়ত্ত করে একটির পর একটি ক্লাস পার হচ্ছে। ভালো জিপিএ পেলেও তারা মানসম্পন্ন ছাত্র হতে পারছে না।

এ কারণেই এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া ছাত্র ‘আমি জিপিএ ফাইভ পেয়েছি’-এর ইংরেজি জিজ্ঞেস করায় উত্তর দিচ্ছে- ‘আই অ্যাম জিপিএ ফাইভ’।

কাজেই নিুপর্যায় থেকে এসব ছাত্রছাত্রী যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে, তখন ওইসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হাতে এমন আলাদিনের চেরাগ নেই যে, তারা তাদের রাতারাতি মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে পারবেন। আর তাদের অধিকাংশের মধ্যে তেমন উদ্দেশ্যও নেই।

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও ছাত্রদের সময় দেয়ার চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক উপার্জনের জন্য সময় দিচ্ছেন অথবা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সে পাঠদানে অধিক সময় দিচ্ছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলের জন্য জোরালোভাবে পরামর্শ দিলেও সে পরামর্শ কি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর হয়েছে?

দেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন লেখাপড়ার দৈন্যদশা, তখন ইউজিসি এসব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নিচ্ছে না।

কেবল ভোটের সংখ্যা বাড়াতে এবং বর্ণদলীয় রাজনীতিতে অবস্থান জোরদার করতে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকের প্রয়োজন না থাকলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগে বাধা দিতে পারছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাড়াটে শিক্ষকের সংখ্যা কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পারফরমেন্স মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতেও কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। শিক্ষকদের মধ্যে নৈতিক স্খলন, প্লেজারিজম, নকল করে থিসিস লেখা, একজনের পদোন্নতির জন্য তার গবেষণা প্রবন্ধ বা ডিগ্রির জন্য অভিসন্দর্ভ আরেকজনের লিখে দেয়া ইত্যাদি অভিযোগ থাকলেও এসবের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না।

ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষকরা তাদের প্রকাশনা নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব পোর্টালে পোস্ট না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের মানে অবনমন ঘটানোর কারণ হওয়া সত্ত্বেও সেসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউজিসি নীরবতা পালন করছে। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, বিদ্যমান শ’দেড়েক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ না দিয়ে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি এখন দেশে আরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে নাগরিক সমাজের বাহবা নিতে চাইছেন।

সরকারপ্রধান এবং মন্ত্রিসভার কোনো কোনো সদস্যকে প্রায়ই জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলতে শোনা যায়। কিন্তু জেলায় জেলায় স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা কি মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের নিশ্চয়তা দিতে পারছেন? না, তা পারছেন না।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত মেডিকেল কলেজে তারা কি মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছেন? না, তা পারছেন না। ফলে এসব মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তারদের কাছে রোগীরা কতটা সেবা পাবেন?

একইভাবে জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটরা কতটা মানসম্পন্ন হয়ে বের হতে পারবেন? তারা কি আন্তর্জাতিক চাকরিবাজারে অন্য দেশের গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চাকরি পাবেন?

যদি সে নিশ্চয়তা না থাকে তাহলে অকারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বেকার গ্র্যাজুয়েটদের সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে অধিক মনোযোগ দেয়া যুক্তিসঙ্গত নয় কি?

সম্প্রতি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো উচ্চশিক্ষায় বর্ণিত নৈরাজ্যের মধ্যে ইউজিসি অবিবেচকের মতো বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। ইতঃপূর্বে ২০১০ সালে একবার এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।

তবে পরে সে উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার কোন বিশেষজ্ঞের বা কোন শক্তির পরামর্শে ইউজিসি এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার। বিষয়টি অনেকটা বাংলাদেশি সিনেমা হলে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের মতো।

নিজের দেশের সিনেমার উন্নতির উদ্যোগ গ্রহণ না করে এ দেশের সিনেমা হলে শাহরুখ-সালমান এবং ঐশ্বরিয়া-কাজল অভিনীত ছবি দেখালে যে পরোক্ষভাবে তা বাংলাদেশি সিনেমাগুলোর জন্য আত্মঘাতী হবে; শাকিব আর পূর্ণিমাদের জীবনে অমাবস্যা নেমে আসবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

একইভাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনের অনুমতি দিলে যে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অন্ধকার নেমে আসবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কেবল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এমন অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে দু-তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা ভালো করার চেষ্টা করছে, তাদের প্রচেষ্টায়ও বাধা সৃষ্টি করবে।

কারণ, তখন পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী গ্র্যাজুয়েট হওয়ার জন্য সচ্ছল নাগরিকদের ছেলেমেয়েরা স্বদেশি সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি না হয়ে পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি হতে চাইবে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বদেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

ইতিমধ্যে ইউজিসি কার অঘোষিত নির্দেশনায় এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জাতিকে জানানো দরকার। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ইউজিসি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনের জন্য ইতঃপূর্বের বাতিল হওয়া বিধিমালা সংশোধনপূর্বক চূড়ান্ত করে তা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মূল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই পরিচালনা করতে হবে।

কোনো রিজিওনাল সেন্টার খোলা যাবে না। এমন ক্যাম্পাস পরিচালিত হবে মূল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রোভিসি বা ভাইস প্রেসিডেন্টের অধীন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদ থাকতে হবে।

এ ছাড়া ৯ সদস্যের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, অনুষদ, পাঠ্যক্রম কমিটি, অর্থ কমিটি, শিক্ষক নিয়োগ ও শৃঙ্খলা কমিটি, ট্রেজারার, ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, গ্রন্থাগারিক ইত্যাদি পদে লোক থাকতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও এমন অনেক শ্র“তিশোভন নিয়ম-কানুনের কথা লেখা রয়েছে; তবে বাস্তবে তা কতটা প্রতিপালিত হয়, সে বিষয়ে সবাই অবগত।

একজন দেশপ্রেমিক ও শিক্ষাপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমি সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিকে সবিনয়ে অনুরোধ করতে চাই, আপনারা দয়া করে অচিরেই উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার আত্মঘাতী উদ্যোগ বন্ধ করুন।

পরিবর্তে স্বদেশি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করুন। বর্তমানের দেড়শ’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ও শিক্ষক নিয়োগে তদবিরবাজি ও রাজনীতি পরিহার করে মেধার ভিত্তিতে যোগ্যদের নিয়োগের ব্যবস্থা করুন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরের পরামর্শের আলোকে অচিরেই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তাদের মূল দায়িত্বে অধিকতর মনোযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করুন। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র-শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি কমিয়ে লেখাপড়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনা ও গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টিতে মনোযোগ দিন।

এ জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি না করে এগুলোর একাডেমিক মান বৃদ্ধি করুন। শিক্ষকদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। নকলবাজ শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এসব দিকে মনোযোগ না দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না। এমন অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে দয়া করে উচ্চশিক্ষাকে আর নিচে নামাবেন না।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: