বুধবার, ০৭ Jun ২০২৩, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক খাদ্য অধিকার ও কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২৬-২৭ জুলাই নোয়াখালীতে উদ্যোক্তা তৈরিতে যুব সমাজ-স্থানীয়দের মতামত বিষয়ক কর্মশালা সুন্দরগঞ্জে মাধ্যমিক পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ প্রস্তাবিত বাজেট গণস্বার্থবিরোধী – বাম মোর্চা গ্রামের মানুষ যদি অর্থনৈতিক ভাবে ভাল হয় তাহলে দেশের অর্থনীতিও ভাল হয়–রেলপথ মন্ত্রী শিশুদের হাতে ২০৪১ এর বাংলাদেশের চাবিকাঠি- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বাসদ এর বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

হোস্টেলে রাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, রহস্য উদ্ঘাটন

নিউজ ডেস্ক :: মোবাসসিরা তাহসিন ইরা নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৩১ জানুয়ারি) ভোর রাত ৩টার দিকে নগরীর মির্জাপুর এলাকায় একটি আবাসিক ছাত্রী হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মতিহার থানার পুলিশ।

রাবি ছাত্রীর এই আত্মহত্যার পেছনে প্রেম সংক্রান্ত ব্যাপার রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন পুলিশ। ইরার পরিবারও বলছে, একই কথা।

ইরার বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও মা একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন বোনের মধ্যে ইরা দ্বিতীয়।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মরদেহ নিতে রাজশাহীতে আসেন ভগ্নিপতি ইজাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ইরার এক বান্ধবী ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। ইরার সঙ্গে সাব্বির নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি থাকেন চট্টগ্রামে। তাদের প্রেমের সম্পর্কে ঝামেলা চলছিল, কিন্তু আত্মহত্যা করবে এমনটা আমরা কখনও ভাবিনি।

ইজাজ আহমেদ আরও বলেন, ইরার সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৩-৪ বছরের। ইরা যখন ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে পড়তো, তখন হয়তো ওই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।

তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিউলি খানম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি প্রেমঘটিত কারণে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে ছাত্রীনিবাসে কারও সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন, এমন তথ্য জেনেছি। তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার সঙ্গে কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে এবং মোবাইলের কল রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব থেকে আরও তথ্য জানা যাবে।

ছাত্রীনিবাসে থাকা এক ছাত্রী বলেন, তাদের সম্পর্কে প্রায়ই ঝামেলা হতো। মাঝে মাঝেই তারা ঝগড়া করতেন। ইরা এ নিয়ে হতাশায় থাকতেন, মন খারাপ করে থাকতেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রোববার ইরার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পরে তার মরদেহ নিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এনএস/

নিউজটি শেয়ার করুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: